পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে হেনস্তার স্বীকার মিলন মেম্বার; খোয়াতে হলো আরও লাখ টাকা
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা সোমবার রাত ০১:২০, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
বিউটি ও তার স্বামী হালিমের কাছ থেকে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে; উল্টো হেনস্তার স্বীকার হয়েছেন বলে ব্যবসায়ী ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হাই মিলন নামের এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে দাউদকান্দি পৌরসভার উপজেলা কোয়ার্টার সংলগ্ন এলাকায়।
জানা যায়, মেঘনা উপজেলার বিউটি নামের এক নারীর জমি বিক্রি করবে জানালে; একই গ্রামের মিলন মেম্বার বর্তমানে দাউদকান্দি পৌরসভার উপজেলা কোয়ার্টার সংলগ্ন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা; এতে সম্মতি জানিয়ে তিন শতো টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে বিউটি আক্তারকে ৭ লাখ টাকা প্রদান করেন।
গত আগষ্ট মাসের ৩ তারিখ রাতে বিউটি আক্তার ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোনে কল করে জানান যে, তার স্বামী হালিম মালদ্বীপ থেকে দেশে চলে আসছে; তাই জমি বিক্রি করতে পারবে না। টাকা ফেরত দিয়ে দিবে বলেও জানান।
এরপর মিলন মেম্বার হালিমার বাসায় টাকা ফেরত আনার জন্য গেলে; এই একদল মুখোশধারীকে দিয়ে টাকা প্রদানের প্রমাণ স্বরুপ স্টাম্প ফেরত চান। স্টাম্প ফেরত দিতো অস্বৃকীতি জানালে তাকে (মিলন মেম্বার)-কে মুখোশধারীরা মারধর করে; ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা স্বাক্ষরসহ ইসলামি ব্যাংকের দুটি ব্লাঙ্ক চেক নিয়ে; এরপরের দিন ব্যাংক থেকে ১ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায়।
বিষয়টির কোনো সমাধান না পাওয়ায় মিলন মেম্বার; কুমিল্লা জেলার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর ৩ নং আদালতে; বিউটি আক্তার ও তার স্বামী হালিমকে আসামী করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা আইনে একটি মামলা ও দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মিলন মেম্বার জানান, পাওনা টাকা চাওয়াতে আমার থেকে জোরপূর্বক ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এই মহিলা ও একটি চক্র। পাশাপাশি আমাকে সামাজিকভাবেও হেয় করেছেন। এতে আমার সম্মানহানি হয়েছে। আমি আইনের মাধ্যমে তাদের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে বিবাদী বিউটি আক্তার ও তার স্বামী আব্দুল হালিমকে না পাওয়ায়; কোনো প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।