ঢাকা (রাত ১:০৫) সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পলাশবাড়ীতে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে গৃহবধুকে উদ্ধার করল পুলিশ

তারিক আল মুরশিদ,গাইবান্ধা তারিক আল মুরশিদ,গাইবান্ধা Clock মঙ্গলবার সন্ধ্যা ০৬:১২, ২ আগস্ট, ২০২২

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে যৌতুকের দাবিতে শাপলা বেগম (২৩), নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ পলাশবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। শাপলা বেগম উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের কেত্তারপাড়া গ্রামের হাফিজার রহমানের মেয়ে।

অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর পূর্বে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক শাপলা বেগমের সহিত, একই উপজেলার পলাশবাড়ী পৌরসভা এলাকার বাঁশকাটা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মোতাল্লিব ওরফে মুন্না বিবাহে আবদ্ধ হয়।

বিবাহের সময় স্বর্ণালংকার, ঘরের বিভিন্ন প্রকার আসবাবপত্রসহ নগদ ৪ লক্ষ টাকা উপঢৌকন হিসেবে দেন ভুক্তভোগী গৃহবধূর পরিবার। বিবাহের প্রায় ৬ মাস পর শাপলা বেগমকে ঢাকায় নিয়ে যান মোতাল্লিব ওরফে মুন্না। সেখানে তারা একটি পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ নেন। ওই দম্পতির ঘরে আড়াই বছর বয়সের একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে। বর্তমানে তারা নিজ গ্রাম বাঁশকাটায় বসবাস করে আসছিলেন।

সম্প্রতি শাপলা বেগমের স্বামী মোতাল্লিব ওরফে মুন্না ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুক হিসেবে আরও ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে আসতে শাপলা বেগমকে চাপ দেন। কিন্তু ভুক্তভোগী তা আনতে অস্বীকার করায় বিভিন্ন সময় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন অমানবিক নির্যাতন করে আসছিল।

নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় ৩১ জুলাই রোববার সকালে গৃহবধূ শাপলা বেগমকে বেধড়ক মারপিট করাকালীন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি, ৯৯৯ এ ফোন করলে তৎক্ষনাৎ পলাশবাড়ী থানার এসআই আব্দুল মান্নান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে, গৃহবধূ শাপলা বেগমকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাতে সহযোগিতা প্রদান করেন।

বর্তমানে নির্যাতিত গৃহবধূ শাপলা বেগম চিকিৎসা শেষে তার বাবার বাড়ীতে রয়েছেন।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT