ঢাকায় ১৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিশুদ্ধ বাতাস
ডেক্স রিপোর্ট মঙ্গলবার দুপুর ০৩:৪০, ২৭ জুলাই, ২০২১
বিগত কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম বা দ্বিতীয় অবস্থানে ওঠানামা করছে রাজধানী ঢাকা। ঈদের পর দেখা গেলো ঠিক উল্টো চিত্র। ঈদের পরদিন ২২ জুলাই সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ঢাকার বাতাস ছিল গত ১৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো।
বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা এয়ার ভিজুয়াল এ তথ্য জানিয়েছে।
২০১৬ সাল থেকে এয়ার ভিজুয়াল ঢাকাসহ ৯৬টি শহরের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণ করে আসছে। বাতাসে ক্ষতিকর বস্তুকণা পিএম-১০ ও পিএম-২.৫-এর মাত্রা অনুযায়ী ওই মান পরিমাপ করা হয়। মূলত একটি শহরের মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ির কালো ধোঁয়া, নির্মাণকাজের ধুলা ও শিল্পকারখানার ধোঁয়া মিলে বায়ুর মান খারাপ হয়। এই ঈদে প্রায় ৫৬ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়ি চলে যায় এবং মেট্রোরেলের প্রায় বেশির ভাগ নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। আর কঠোর লকডাউনের ফলে ঈদের পরের দুই দিনেও ঢাকায় গাড়ির চলাচল ছিল খুবই কম। এই সবকিছু মিলিয়ে ঢাকার বায়ুর মানের অস্বাভাবিক উন্নতি হয়।
ঢাকার বায়ুর মান ঈদের দিন থেকেই ভালো হতে শুরু করে। গত বছরের ঈদের দিনের তুলনায় এবারের ঈদে ঢাকার বায়ু প্রায় তিন গুণ বেশি সময় খুবই ভালো ছিল।
ঈদের পরের দুইদিন ঢাকার বায়ুর মান ছিল ৫০- এর নিচে, যা মোটামুটি ভালো হিসেবে ধরা হয়। যেখানে স্বাভাবিক সময়ে এই মান ২০০-এর বেশি থাকে। এই মান কখনো কখনো ২০০-এর কাছাকাছি চলে যায়।
নির্মল বাতাসের প্রভাব পড়েছে মানুষের দৃষ্টিসীমায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঢাকায় স্বাভাবিক সময়ে ২ থেকে ৪ কিলোমিটার দূরের জিনিস দেখা যায়, সেখানে এ সময় ৭ থেকে ৯ কিলোমিটার দূরের জিনিস দেখা গেছে।
গতকাল সোমবার ঢাকায় বায়ুর মানের সূচক ছিল ৪১। গতকাল এয়ার ভিজুয়ালে বিশ্বের দূষিত শরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে ছিল দিল্লি। একই সময়ে ঢাকার অবস্থান ছিল ৬৮তম।
এয়ার ভিজুয়ালের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বিশ্বের অনেক শহরের বায়ুর মান প্রাকৃতিক কারণে খারাপ থাকে। যেমন কাতার, কুয়েত, ওমান, সৌদি আরব ও মিসরের বায়ুর মান বেশির ভাগ সময় খারাপ থাকে। কারন এসব দেশের আশেপাশে মরুভূমি থেকে প্রচুর ধূলিকণা উড়ে আসে।
অন্যদিকে, প্রাকৃতিক কারণে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, ক্যানবেরা, পার্থ, অ্যাডিলেড শহর এবং ইউরোপের দেশ ইতালি, স্পেন ও গ্রিসের বায়ুর মান ভালো থাকে। এসব দেশের পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ভালো হওয়ার এর পেছনে অন্যতম কারণ।