শাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ মঙ্গলবার বিকেল ০৪:২৫, ৬ অক্টোবর, ২০২০
প্রতিবেশী কর্তৃক মিথ্যা মামলা, বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ ও মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার এক ভুক্তভোগী পরিবার। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় পৌর এলাকার বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থিত মডেল প্রেসক্লাবে ওই ভূক্তভোগী পরিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এইসব অভিযোগ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কালীতলা দ্বিতীয় গলি নিবাসী ভূক্তভোগী পরিবারের প্রধান আলহাজ্ব মো.আমিনুল ইসলাম বুলু।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী আলহাজ্ব মো. আমিনুল ইসলামের পক্ষে তার ছেলে মো. আফিজুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে অভিযোগের সুরে জানান, প্রায় ২৭ বছর ধরে নবাবগঞ্জ মৌজাধীন ১৪০৭ ও ১৪০৮ দাগের নিজ নামীয় অংশ দখলে নিয়ে বসবাস করে আসছেন তারা। পরে তাদেরই প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিনের পিতা মৃত আতাউর রহমানের নিকট থেকে ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখল প্রাপ্ত হয়ে তিনি পৌরসভার হোল্ডিং চালু করেছেন। এদিকে বসবাসের সুবিধার্থে মৃত আতাউর রহমানের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিনকে বন্টনের কথা বললে সাবিনা রাজি হননি। আর এতে বাধ্য হয়েই তিনি আদালতে বাটোয়ারা মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত নিযুক্ত ব্যক্তিগণ ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ক্রয়কৃত দখলীয় অংশ বুঝিয়ে দেন এবং এতে তিনি চুড়ান্ত ডিক্রী প্রাপ্ত হন। পরে ডিক্রীর উপর প্রতিপক্ষ সাবিনা আপিল করলে সেখানেও ডিক্রী বহাল রাখেন বিজ্ঞ আদালত। এরপর আদালতের রায় বিপক্ষে যাবার পর থেকেই প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিন ও তার স্বামী সাদিকুল ইসলাম রবি আমাদের পরিবারকে হয়রানির উদ্দেশ্যে পৌরসভার মেয়র, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর নানা মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে তাদের অভিযোগের কোন সত্যতা না পেয়ে পূনরায় আমাদের পক্ষেই রায় প্রদাণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ভুক্তোভোগী আমিনুল ইসলাম বলেন, আদালতের সকল রায় গোপন করে সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী রবি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো.সাদিকুল ইসলাম রবি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রকাশ করে আমাকে হয়রানি করছেন। এছাড়া বর্ণিত সম্পত্তির উপর একাধিক মামলা চলমান থাকা স্বত্তেও সাদিকুল ইসলাম রবি মামলা হামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সংবাদে নক্সা অনুমোদন ছাড়া বাড়ী নির্মাণের যে কথা বলা হচ্ছে তা সত্য নয়। কারণ ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ও ২০ সেপ্টেম্বর রবিবার নির্মাণ ফিসহ নক্সা অনুমোদন ফি রশিদের মাধ্যমে পৌরসভায় জমাদান করা হলেও কোন এক অজ্ঞাত কারণে তা অনুমোদন দেননি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। তবে কর্তৃপক্ষের মৌখিক অনুমোদন পেয়ে বাড়ী নির্মান শুরু করি এবং পরে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিলে আমি অদ্যাবধি কাজ বন্ধ রেখেছি।
তবে পৌরসভার মেয়র মোহম্মদ নজরুল ইসলাম উভয় পক্ষের বিরাজমান সমস্যা সমাধানের লক্ষে একাধিকবার উদ্যোগ গ্রহণ করলেও প্রতিপক্ষ সাবিনা ইয়াসমিন ও তার স্বামী মো. সাদিকুল ইসলাম রবি সমাধানে উপস্থিত না হওয়ায় তা বারবার ভেস্তে যায় বলে জানান আমিনুল।
আর তাই প্রতিপক্ষ সাবিনা ইয়াসমিন ও তার স্বামী সাদিকুল ইসলাম রবির এ সকল চক্রান্তের হাত হতে মুক্তি পেতে আমি ও আমার পরিবার সংবাদকর্মীদের স্মরণাপন্ন হয়েছেন বলে জানান আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম। আর সুষ্ঠু তদন্ত পুর্বক সংবাদ প্রকাশ করে প্রতিপক্ষের রোষানল হতে তিনি ও তার পরিবার মুক্তি পেতে পারেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগী আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম বুলুর নির্মানাধীন বাড়ির ঠিকাদার আবু বাক্কার সিদ্দিক, অপর প্রতিবেশি সানোয়ার আলী ও কুদরত আলী।