চরম ভোগান্তিতে সাঘাটায় ডায়াবেটিস রোগীরা
আসাদ খন্দকার,সাঘাটা,গাইবান্ধা মঙ্গলবার রাত ০২:২৩, ৫ এপ্রিল, ২০২২
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় দিনদিন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা আশঙকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু ডায়াবেটিস হাসপাতাল অথবা সরকারী বেসরকারী ভাবে চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন শহরের হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের চিকিৎসা নিতে গিয়ে যেমন এক দিকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে; অপর দিকে অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হচ্ছে রোগীর পরিবারকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ৪ লাখ মানুষের বসবাস। এ উপজেলায় বিভিন্ন শ্রেনী পেশা ও বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হলে রোগীকে বিশেজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত খাবার, হাটা-চলা, নিয়মিত ঔষধ সেবন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক।
কিন্তু এ উপজেলায় ডায়াবেটিস হাসপাতাল, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও পরীক্ষার ব্যবস্থা এর কোনোটাই নেই এখানে। ফলে রোগীদেরকে অতিরিক্ত অর্থ গুণে গাইবান্ধা, বগুড়া অথবা রংপুর গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত রোগী ঝাড়াবর্ষা গ্রামের আবু বক্কর জানান, ১৫ বছর আগে তার শরীরে ডায়াবেটিস ধরা পরেছে তখন থেকে গাইবান্ধা ডায়াবেটিস সমিতির অধীনে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। ১৫ দিন পর পর গাইবান্ধায় ডায়াবেটিস সমিতিতে গিয়ে ডায়াবেটিসের পরিমান নির্ণয় করতে হয় তাকে। খাওয়ার আগে এবং পরে পরীক্ষা বা ডায়াবেটিস নির্ণয় করতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে অস্বস্তিকর দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাকে।
অপর রোগী জামিল উদ্দিন মন্ডল জানান, ১২ বছর আগে তার রোগ ধরা পড়েছে, তখন থেকে বগুড়ায় একটি ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। ১৫ দিন পর পর চিকিৎসা নিতে গিয়ে তাকে এক দিকে অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হচ্ছে অপর দিকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
একই অভিযোগ সাঘাটা গ্রামের আব্দুল মান্নান মন্ডল, খামার পবনতাইড় গ্রামের শফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর সহ আরো অনেকের। তারা জানান, সাঘাটায় একটি ডায়াবেটিস হাসপাতাল হলে অথবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেয়ার ব্যবস্থা করা হলে রোগীদের যেমন দুর্ভোগ লাঘব হবে তেমনি পরিবহন খরচও বাঁচবে।
সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আরিফুজ্জামান জানান, ডায়াবেটিস রোগীর চিকিৎসার জন্য এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসক নেই। মেডিসিন বিভাগের একজনের পদ থাকলেও তা শুন্য রয়েছে। তবে পরীক্ষা বা ডায়াবেটিস নির্ণয় করার ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো রোগী চাইলে এখানে নিয়মিত ভাবে ডায়াবেটিস নির্ণয় করতে পারবেন।