‘কিভাবে চলবে এরশাদ মিয়ার সংসার, দিশেহারা তার পরিবার’ সংবাদটি মেঘনা নিউজে প্রকাশের পর আর্থিক সহায়তা দিলেন ‘শেফা’
একরামুল ইসলাম,পীরগাছা (রংপুর) বৃহস্পতিবার দুপুর ০২:০২, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
গত ১৩ আগস্ট ‘কিভাবে চলবে এরশাদ মিয়ার সংসার, দিশেহারা তার পরিবার’ শিরোনামে খবরটি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল মেঘনা নিউজে প্রকাশের পর আর্থিক সহায়তা দিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘শেফা’।
খবরটি মেঘনা নিউজে প্রকাশের পর সেটি নজরে আসে ‘শেফা’ কর্তৃপক্ষের। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ‘শেফা’ কর্তৃপক্ষ নগদ অর্থ ও একটি বাথরুম চেয়ার ওই অসহায় পরিবারকে প্রদান করেন।
সংবাদটি ছিল এরকম, উপজেলার অনন্তরাম (মাছুয়াপাড়া) গ্রামের মো. আবু মিয়ার একমাত্র ছেলে ভ্যানচালক এরশাদ মিয়া গত বুধবার (১২ আগস্ট) বিকাল ৪টায় পীরগাছা থেকে যাত্রী নিয়ে চৌধুরাণী (ইছলারহাট) যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। ইছলারহাটে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ফেরার পথে ভ্যানের চাকায় একটা কুকুর চলে আসলে ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এরশাদ মিয়া মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ভ্যান গায়ের উপরে উঠে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত-বিক্ষত হয়। চলাফেরার মতো শক্তি হারিয়ে যায়। তার ডান হাত কোনো কাজ করছে না। পঙ্গুত্ব বরণ করার আশঙ্কা করছে অনেকেই। পরিবার সূত্রে জানা যায়, এরশাদ মিয়া ছিলেন ওই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার আয় দিয়েই চলতো সংসার। এরশাদ মিয়া, তার বাবা-মা, স্ত্রী ও তিনকন্যা মিলে তার সংসারে রয়েছে ৭ সদস্য। এতো বড় সংসার তার উপর এই দুর্ঘটনা। এরশাদ মিয়ার এই দুর্ঘটনার ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তার গোটা পরিবার। অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেলো তাদের ভবিষ্যত।
জানা যায়, এক ঝাঁক তরুণ ও কয়েকজন প্রবাসি বাংলাদেশির আর্থিক সহযোগিতায় সংগঠনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত কয়েক মাস আগে। এরই মধ্যে শেফার সুবিধা পেয়েছে অনেক দরিদ্র ও ঋণগ্রস্ত সাধারণ মানুষ।
শুরুতেই উপজেলার আরাজিদেবু, আমডারা ও পশ্চিমদেবু এলাকায় বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন পরিমাণে অর্থ বিতরণ ও কিছু গরীব অসুস্থ লোককে চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে। চলতি বছরে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কয়েকটি দুস্থ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। এখনো এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। শেফার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হিসেবে তারা মানুষের জন্য শিক্ষা, চিকিৎসা ও অসহায়দের সাবলম্বী করা এবং যারা আর্থিকভাবে সংকটে আছে তাদের সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করা। শেফা মূলত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একদল উদীয়মান যুবকের স্বীয় প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান। যেখানে তারা গোপনে দান করাকে আত্মতৃপ্তি বলে মনে করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অর্থদাতা বলেন, আমাদের কার্যক্রম আরও ব্যাপকহারে হাতে নেয়া হয়েছে। শেফার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা।