ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে গৌরীপুরে মেয়রের সংবাদ সম্মেলন, এমপি পুত্র’র গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ
ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর,ময়মনসিংহ রবিবার সন্ধ্যা ০৬:৫৭, ৭ মার্চ, ২০২১
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে রবিবার (৭ মার্চ) ঐতিহাসিক সাতই মার্চ পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটি পালন করতে বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচি গ্রহন করে। পৌর আওয়ামী লীগ ও পৌর পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে নবনির্বাচিত পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম পৌর পরিষদে অবস্থান নেয়।
এ সময় এমপি পুত্র তানজির আহম্মেদ রাজিব অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গৌরীপুর হয়ে শাহগঞ্জ যাওয়ার পথে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষের ঘটনায় মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম নিজ বাসভবনে বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু চত্বরে ফুলের তোড়া দিয়ে পৌরসভা কার্যালয়ে চলে আসার সময় কিছু দূরে অবস্থান করা এমপি নাজিম উদ্দিন আহম্মেদের পুত্র রাজিব তাঁর দলবলকে নির্দেশ দেয় আমাদের পথরোধ করে হামলা চালানোর জন্য। এ সময় তাদের অস্ত্রের মহড়ায় ভীত হয়ে অনেকে দিগব্দিক ছুটাছুটি করলে এমপি পুত্র রাজিব নিজের গাড়ির ভিতর থেকে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্দেশ দেয় গুলি করার জন্য।
তিনি আরো জানান, এ সময় তাঁর সাথে থাকা সহনাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. দুলাল আহাম্মেদ গুলি করে। তিনি এসময় দাবি করে বলেন, দুই রাউন্ড গুলি করা হয়েছে। এমন সময় আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন দিলুর মাথার কাছ দিয়ে গুলি লক্ষভ্রষ্ট হয় ও সে আহত হয়ে মাটিতে পরে যায় এবং অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। এ সময় আরো আহত হয় যুবলীগ নেতা আলামীন।
অপরদিকে এমপি পুত্র রাজিব জানান, তিনি দীর্ঘদিন পর নিজ এলাকায় আসেন ৭ মার্চ পালন করতে। এ উপলক্ষে শাহগঞ্জের একটি ফুটবল ম্যাচ দেখতে রওনা হই। পথে গৌরীপুরের বাসস্ট্যান্ডে আসা মাত্রই আমার গাড়ি বহর লক্ষ করে হামলা চালায় মেয়রের সন্ত্রাসী বাহিনী। এ সময় রেলাইনের পাথর ছুঁড়ে হামলা চালানো হয়। এতে আমার সাথে থাকা ৫/৬ জন কর্মী আহত হয় এবং গাড়ী বহরের কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয়। তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থলে আসালে আমি প্রাণে রক্ষা পাই। এ ঘটনায় আমার কোনো সমর্থক বা কর্মী হামলা চালায়নি। গুলির ঘটনা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট, অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এ ঘটনার বিষয়ে, গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, গুলির কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তাছাড়া দুই পক্ষের মধ্যে কোনো ধরনের সংঘর্ষ বাঁধে নি। এমপি পুত্রের গাড়ি বহরে হামলা চালানোর সময়ই ঘটনাস্থলেই পুলিশ চলে যায়। পরে আর বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারপরও শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।