আদালতের স্থিতাবস্থার পরও হাকালুকির হাওরের খালে রাতের আঁধারে শিকার
ইবাদুর রহমান জাকের,সিলেট শনিবার রাত ০৯:০৪, ৩১ অক্টোবর, ২০২০
আদালতের স্থিতাবস্থার পরও হাকালুকি হাওরের গুটাউরা হাওরখাল (বদ্ধ) জলমহাল থেকে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মাছ শিকারের প্রতিবাদে বড়লেখায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় তালিমপুর ইউনিয়নের কাননগোবাজারে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বড়লেখার মৎস্যজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা’র সন্তানগণ ও হাওরপাড়বাসী।
মানববন্ধনের আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, হাকালুকি হাওরের হাওরখাল (বদ্ধ) জলমহালের ওপর সোনার বাংলা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মৎস্যজীবী সমিতির হাইকোর্টে রিট মামলা নং ১৫৬১/১৮ এর মাধ্যমে মাধবকুণ্ড মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির ইজারা বাতিল ও আপিল মামলায় স্থিতাবস্থা জারি হয়। কিন্তু মাধবকুণ্ড মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি আইন লংঘন করে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সোনার বাংলা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান, সহ সভাপতি আব্দুল খালিক বাদল, সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, বড়লেখা পৌরসভার কাউন্সিলর রেহান পারভেজ রিপন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মুহাম্মদ শাহজাহান।
বক্তারা বলেন, ‘সোনার বাংলা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মৎস্যজীবী সমিতি জলমহালটির (হাওরখাল (বদ্ধ) জলমহাল) বৈধ ইজারাদার। উপজেলা জলমহাল কমিটি ও সরকারি কৌসুলীর মতামত উপেক্ষা করে মামলা চলমান অবস্থায় মাধবকুণ্ড মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির অর্থের যোগনদাতা ফেঞ্চুগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আদালত অবমাননা করে বে আইনীভাবে উক্ত জলমহালের ১৪২৭ বাংলা সনের রাজস্ব করাদি পরিশোধ করেন। প্রায় ৬ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমার বেড়াজালে আটকিয়ে গুটাউরা হাওর খাল (বদ্ধ) জলমহাল থেকে প্রতিরাতে লাখ টাকার মাছ লুট করছেন। বার বার তিনি আইন অমান্য করছেন। বাধ্য হয়ে আমরা মানবন্ধন করছি। ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় আমরা আদালতের পানে চেয়ে আছি।’