রাবি শিক্ষার্থীর উপর দূর্বত্তের হামলা
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি শনিবার রাত ১১:১৫, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯
মোঃ ইসমাইল, রাবি প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সোহরাব মিয়া নামের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগের দুই কর্মী। মারধরে সোহরাবের বাম হাতের দুই জায়গাও ভেঙে গেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের তৃতীয় ব্লকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় সোহরাব বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আট নাম্বার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মারধরে অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। এরা দুইজনই জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বে রয়েছেন এবং রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী।
মারধরের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ লাকের নেতৃত্বে সোহরাবসহ ফ্যাইনান্স বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হলের তৃতীয় ব্লকের ২৫৪ নাম্বার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে সোহরাবকে নানা রকম কথা জিজ্ঞাসা করেন আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। এক পর্যায়ে তারা দু’জন মিলে সোহরাবকে রড দিয়ে মারধর শুরু করে। তারা সোহরাবের মাথা ও হাতে পিটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে সোহরাব রক্তাক্ত হলে তারা মারধর বন্ধ করেন। পরে সোহরাবের বন্ধুরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ও পরে রামেকে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে সোহরাবের সঙ্গে থাকা তার সহপাঠীরা জানান, সোহরাবের বাম হাতের কনুইয়ের ওপর ও নিচে দুই জায়গায় ভেঙে গেছে। চিকিৎসক জানিয়েছে মাথার তিন জায়গায় মোট ১৫ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তার মাথা থেকে প্রচন্ড পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়েছে। আপাতত এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে তার সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোহরাবের এক সহপাঠী জানান, গত কয়েকদিন থেকেই আসিক লাক সোহরাবকে নানাভাবে অত্যাচার করে আসছে। দুইদিন আগেও আসিফ লাক সোহরাবকে ডেকে নিয়ে চড় থাপ্পর মেরেছিল।
এদিকে, মারধরের ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত আসিফ ও নাহিদের মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে। তাদের বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।