সিলেটে বিভাগে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু
আবুল কাশেম রুমন সোমবার রাত ১১:৪৪, ৬ মে, ২০২৪
সিলেট বিভাগে টানা ২ দিনের বৃষ্টিপাত, বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৫ মে) সকালে সিলেটের কানাইঘাট, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ এবং হবিগঞ্জের বাহুবলে এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
কানাইঘাট: কানাইঘাটে মাঠে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি মারা যান। তিন ওমান প্রবাসী ছিলেন। সোমবার (৬ মে) সকালে উপজেলার ৩নং দীঘিরপার পূর্ব ইউনিয়নে মাঠে গরু চরাতে গিয়ে মারা যান তিনি। নিহত মাহতাব উপজেলার দর্পনগর পশ্চিম করচটি গ্রামের রফিকুল হকের পুত্র।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নিহত মাহতাব উদ্দিন সুরমা নদী তীরবর্তী মাঠে গরু চরাতে যান। এক পর্যায়ে হঠাৎ বজ্রপাত হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। বজ্রপাত নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী।
কমলগঞ্জ: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতন ঊষার ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ বাড়ির পাশে মাছ ধরতে গেলে বজ্রপাতে মারা যায়।
স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকেও বৃষ্টির সাথে সাথে বজ্রপাত শুরু হয় এ সময়ে ছনোয়ার মিয়ার ছেলে সমুজ মিয়া (৩০) জমির সাথে ছড়ায় মাছ ধরতে গেলে আকস্মিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই সমুজ মিয়া মারা যান। সে সদ্য বিবাহিত। তাঁর অকাল মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।
পতন ঊষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খাঁন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সদ্য বিবাহিত সমুজ মিয়ার মৃত্যুতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউএনও সাহেব সহায়তার কথা জানিয়েছেন।
হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের বাহুবলে সোমবার সকালে বজ্রপাতে দানিছ মিয়া (৫৫) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দানিছ মিয়া সাতপাড়িয়া গ্রামের রহিম উল্লার ছেলে।
জানা যায়, হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সাত পাড়িয়া গ্রামে বাড়ির পাশের জমি থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রাঘাতে দানিছ মিয়া নামে (৫৫) মৃত্যু হয়। দানিছ উপজেলার চলিতাতলা মাদরাসার শিক্ষক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাহুবল থানার (ওসি) মোঃ মশিউর রহমান জানান, সোমবার (৬ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বজ্রপাতে হালেমা খাতুন (৪৪) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়।