চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার র্যাবের জালে গ্রেফতার ২ খুনী
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ রবিবার রাত ১১:২২, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
এবার র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের অভিযানে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার বোয়ালী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই খুনীকে।
তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নিহত হওয়া ব্যক্তির পক্ষে দায়ের করা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী। সম্পর্কে আপন ভাতিজা। কিন্তু এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যরা রয়েছে এখনো পলাতক। শনিবার সন্ধ্যায় পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তীতে এমনই তথ্য জানানো হয় র্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প থেকে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- জেলার সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের চরশেখালীপুর গ্রামের মো. মজিবুর রহমান শেখের ছেলে মো. বাবু (৩০) এবং মো. মোখলেসুর রহমানের ছেলে মো. জাইদুল ইসলাম (৩২)। আসামীরা যথাক্রমে এজাহারভুক্ত ২ ও ১০ নম্বর আসামী।
প্রেস বিজ্ঞপ্তীতে র্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লে. কমান্ডার রুহ ফি তাহমিন তৌকির জানান, গেলো বছরের ৪ ডিসেম্বর শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচাতো ভাই মজিবুর রহমান ও তার সন্ত্রাসীদের হাতে সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের শেখালিপুর গ্রামের আইনুদ্দিনের ছেলে বদিউজ্জামান (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হবার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বোয়ালী গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বদিউজ্জামানকে হত্যার পর আসামিরা পলাতক ছিলো এবং পরিচয় গোপন করে ছদ্মবেশে টাঙ্গাইলের মধুপুরের বোয়ালীতে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হত্যাকান্ডে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে এবং সেই সাথে অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান র্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প কোম্পানী অধিনায়ক।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন থেকে নিহত বদিউজ্জামানের সাথে তার চাচাতো ভাই মজিবুর রহমানের সাথে বাড়ি-ভিটার সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার গ্রাম্য শালিস হলেও তা মেনে নেয়নি বদিউজ্জামানের চাচাতো ভাই।
এরই প্রেক্ষিতে গত ৪ ডিসেম্বর ভোর সোয়া ৬টার দিকে আসামী মজিবুর ও তার ছেলেসহ ২০/২২ জনের একটি দল বদিউজ্জামান ও তার স্ত্রী সন্তানের ওপর হাসুয়া ও কান্তা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালালে মাথায় গুরুতর জখমের কারণে বদিউজ্জামান ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে এবং তার ছেলে নয়ন (১৭) মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তার স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।