সাঘাটায় ঝুঁকিপূর্ন টিনশেড ঘরে চলছে পাঠদান
আসাদ খন্দকার,সাঘাটা,গাইবান্ধা সোমবার সন্ধ্যা ০৬:২৫, ১১ অক্টোবর, ২০২১
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর সরকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন না থাকায় পুরাতন টিনসেড ঘরে পাঠদান গ্রহণ করছে শিশু শিক্ষার্থীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান গ্রহণ করায় শিক্ষার্থী অভিভাকরা উদ্বিগ্ন । এমনকি শিক্ষকরাও রয়েছেন চরম বিপাকে। ভাঙ্গাচুড়া টিনশেড ঘরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করায় যেকোন সময় ঘটে যেতে পাড়ে বড় ধরণের দূর্ঘটনা।
এতে করে শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকরা উৎকন্ঠিত। দ্রুত নতুন ভবন নির্মানের দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
জানাগেছে, প্রত্যন্ত পল্লী অঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষা বৃদ্ধির জন্য ২০০৯ ইং সালে এলাকার দানশীল ব্যাক্তি ইসমাইল হোসেন নিজের ৩৩ শতাংশ জমি দান করে পদুমশহর সরকারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন । প্রতিষ্ঠালঘ্ন থেকে দোচালা টিন শেড ঘরে পাঠদান শুরু করে।
বিগত কয়েক বছরে ঐ টিন শেড ঘরের টিন ফুটো হয়ে গেছে। সেই ফুটো দিয়ে বৃষ্টির পানি চুয়ে পড়ে। এতে বৃষ্টি এলেই শিক্ষার্থীরা ছুটা ছুটি করে ক্লাসে পাঠদান না করে যে যার মত বাড়ী চলে যায়। এছারও দরজা জানালাও ঠিক নেই। ঐ টিন শেড ঘরে ৩টি রুমের দুটিতে ক্লাস নেওয়া হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে উপজেলায় একমাত্র ঐ বিদ্যালয়ে জড়াজীর্ন রুমে পাঠদান করানো হচ্ছে । উক্ত টিনশেড ঘরটি খুটি ও বেড়া নর বরে হয়েগেছে। বিদ্যালয় অভিভাবক খয়বর ও রুপালী বেগম বলেন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ টিনশেড ঘরে আমাদের সন্তানদের লেখাপড়া করানো হচ্ছে। দ্রুত ঐ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মানের জোড় দাবি জানাচ্ছি আমরা।
পদুমশহর সরকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোকাইয়া কুলসুম রত্না বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি অনেক বেশি। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে ১৯০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। করোনা কালীন সময়ে বাড়ী বাড়ী গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এসে জরাজীর্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ টিন শেড ঘরে জীবনের ঝুকি নিয়ে পাঠদান করানো হচ্ছে। এখানে একটি নতুন ভবন দরকার।
সাঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল আলম জানান, পদুমশহর সরকারপাড়া বিদ্যালয়টি ৩য় ফেজে সরকারি করণকৃত বিদ্যালয়। এখানে নতুন ভবন প্রয়োজন। এজন্য এডুকেশন ইন ইমারজেন্সী তহবিলে পত্র প্রেরন করা হবে। এছাড়াও নতুন ভবন এর প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।