মীর এম ইমরান,মাদারীপুর সোমবার দুপুর ০২:২০, ২৮ জুন, ২০২১
শনিবার (২৬ ই জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের মির্জারচর সিপাইকান্দি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি ও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী লিলি বেগম (৫০)।
স্থানীয় ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, লিলি বেগমের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো মৃত ইসমাইল বেপারীর ছেলে বাশকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গোলাম মাওলার (৩৮) সাথে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগীর পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছিলো গোলাম মাওলা।
গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে গোলাম মাওলা ও তার সহযোগী লুৎফর ফকির, লোকমান ফকির, লিটন ফকির ও মোতালেব বেপারী লিলি বেগমের বসতবাড়ীতে এসে তার ছেলেদের নাম ধরে গালিগালাজ করলে, লিলি বেগমের ছেলে বাদশা মিয়া ও আফজাল হোসেন তাদের প্রতি উত্তর করলে আগে থেকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, রামদা, ছেনদা, লোহার রড দিয়ে হামলা চালায় এবং বাদশা মিয়ার (১৬) মাথায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে।
পরবর্তীতে বাদশা মিয়াকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে লিলি বেগম ও লিলি বেগমের আরেক ছেলে আফজাল হোসেন কে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে যখম করে গোলাম মাওলা ও তার সহযোগীরা।
পরবর্তীতে লিলি বেগমের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন চলে আসলে তারা ওই অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজন গুরুতর যখম অবস্থায় তাদেরকে শিবচর উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী লিলি বেগম বলেন, গোলাম মাওলার সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে ঝামেলা ছিলো। তারা প্রভাবশালী হওয়ার আমাদের সাথে মাঝেমধ্যেই হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে গোলাম মাওলার ছোট ভাই মেম্বার হয়েছে। সেই ক্ষমতা দেখিয়ে গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে আমি বাড়িতে বসা ছিলাম হঠাৎ গোলাম মাওলা, লুৎফর ফকির, লোকমান ফকির, লিটন ফকির ও মোতালেব বেপারী আমাদের বাড়িতে এসে আমার ছেলেদের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে, আমার ছেলে বাদশা মিয়ার ওদের থামতে বললে আমার ছেলের মাথায় কোপ মারে ওরা, আমার আরেক ছেলে ও আমি, ছেলেকে বাচাতে ছুটে গেলে আমার ছেলে আফজাল ও আমাকেও এলোপাতাড়ি পিটায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাশকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও অভিযুক্ত গোলাম মাওলা জানান, ঘটনাটি আমার বাড়িতেই তবে আমাকে একটি পক্ষে ফেলা হয়েছে। নেতারা মিমাংসা করে দিবে বলছে।
এ ব্যাপারে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্তের পরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।