মীর এম ইমরান,মাদারীপুর সোমবার সন্ধ্যা ০৬:০৩, ১০ মে, ২০২১
বাংলাবাজার শিমুলিয়া ঘাট নৌপথে প্রতিনিয়তই চলছিল নৌ-পরিবহন যেমন ফেরি, লঞ্চ স্পীডবোট, বোর্ড,টলার, রোজার শেষে যখন ঈদ ঘনিয়ে আসছে আর ঠিক তখনই মহামারী করোনা প্রকোপ বাড়ায় সমস্ত নৌপথে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় সরকার। যাত্রীরা পদে পদে বাধাগ্রস্ত হয়েও নাড়ির টানে ছুটে চলেছে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ টি জেলার ঢাকায় বসবাসকৃত মানুষ, ভোররাতে দেখা গেছে যাত্রীদের কানায় কানায় পরিপূর্ণ ফেরির প্রত্যেকটি স্তরে ভরা,করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি আরো বিস্তারের সম্ভাবনা ও অনেক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মধ্যরাতে বাংলাবাজার শিমুলিয়া ঘাট এ দুই প্রান্তে হাজার হাজার যাত্রীদের যেন এক শোক মিছিলে পরিণত হয়। দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের যাত্রীরা গভীর রাত্রে শত বাধা উপেক্ষা করেও বাংলাবাজার ফেরিঘাট আসলে পায়নি তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর সড়কপথের যানবাহন এতে করে যাত্রীরা বিপাকে পড়ে যায় মধ্যরাতে। এ সুযোগে কালোবাজারির থাবায় হাতিয়ে পরেছে যাত্রীরা, প্রতি যাত্রী থেকে তিনশত টাকার ভাড়া নিচ্ছে ১৫০০ শত, দুই শত টাকার ভাড়া নিচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকা , অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যানবাহন না পেয়ে ছোট ছোট ও বৃদ্ধ নারী পুরুষ কান্নায় ভেঙে পড়ে।
এদিকে বাংলাবাজার ঘাটে থাকা শত শত পণ্যবাহী ট্রাক মাঠে অবস্থান নিচ্ছে এতে কাঁচামাল থাকায় পচন ধরেছে অনেক কাঁচামালের, এই সুযোগে হাতিয়ে নিয়েছে বাংলাবাজার ট্রাফিক পুলিশ হাজার হাজার টাকা সিরিয়াল আগে দেওয়ার কথা বলে ট্রাক প্রতি এক হাজার থেকে ৫হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা, এমন দৃশ্য দেখা দিয়েছে বাংলাবাজার আনসার ও পুলিশের দায়িত্ব পালনকালে।
গত কয়েকদিন যাবৎ বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে যাত্রীদের স্বাভাবিক যাতায়াত থাকলেও হঠাৎ করেই ঈদ ঘনিয়ে আসায় বাংলাবাজার শিমুলিয়া ঘাটে, কোনরকম নৌ-পরিবহন না চলায়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলার যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায় ফেরিতে। দেখা গেছে বাংলাবাজার- শিমুলিয়া দুই প্রান্তে যাত্রীদের হয়েছিল বড় জটলা, ঢাকা ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল মুখী যাত্রীদের এ চাপ যেন এক বিস্ফোরক এর মত দৃশ্য সৃষ্টি হয়।
যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে সীমিত পরিসরে আচারণবিধি বাধ্য করে ঘাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি সীমিত পরিসরে নৌ-পরিবহন চালু রাখতো তাহলে এরকম গাদাগাদি করে আমাদের ফেরী পারাপার করতে হত না,আমরা বছরের শেষে একবার পরিবারের সাথে, ঈদ যাপন করার জন্য অপেক্ষায় থাকি, যদি সবকিছুই চলাচল করতে পারে যেমন মার্কেট সভা-সমাবেশ বড় ধরনের আয়োজন ও গাড়ি, তাহলে আমাদের বাড়ি যেতে বাধা কেন নৌ-পথে এরকম বাধা জীবনে প্রথমে সম্মুখীন হলাম এতে আমরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি।
মানুষের ভোগান্তি যেন চরমে ,রোগীবাহী এম্বুলেন্স ফেরীতে চলাচল করতে না পেরে ক্ষেপে জান,এমন শত শত রোগী বাহি অ্যাম্বুলেন্সের রোগীরা শারীরিক যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন, ঢাকা চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীরা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না সময় মত,এতে রোগীদের শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটে।
বাংলা বাজার ফেরি চলাচলের বিষয় ঘাট ম্যানেজারদের সাথে কথা বলতে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।