মীর এম ইমরান,মাদারীপুর শনিবার রাত ১১:৪৭, ৮ মে, ২০২১
শুক্রবার মধ্যরাতে বিআইডব্লিউটিসি’র ঘোষণা অনুযায়ী সকল ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা আসে।এমন অবস্থায় ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যাত্রীদের ছিল প্রচুর ভিড়। ভিড় ছিল ঢাকামুখী যাত্রীদেরও ।হঠাৎ করেই পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের ঘোষণা আসে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার মধ্যরাতেই ঘোষণা পূর্বের কোন নিদর্শনা না দিয়ে ফেরী বন্ধ করে রাখাতে ঘাটে থাকা যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছে।
শনিবার ভোর থেকেই বাংলাবাজার ফেরিঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়, শুক্রবার মধ্যরাতে ফেরি বন্ধের ঘোষণা যাত্রীদের জানা শোনার বাইরে ছিল।এ বিষয়ে যাত্রীদের প্রশ্ন করা হলে যাত্রীরা বলে মধ্যরাতে মানুষ যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন কোনো ঘোষণা আসলে সেটা আমাদের জানার কথা না। আমরা ভোর রাত্রি রওনা দিয়েছি ঢাকার উদ্দেশ্যে এসে দেখি ফেরি চলাচল বন্ধ।রোজা অবস্থায় এই দুর্ভোগের আমরা খুবই মর্মাহত।
বেলা বাড়ার সাথে সাথেই যাত্রীদের চাপ আরও বাড়তে থাকে। শিমুলিয়া ঘাট লাঙ্গল করা ফেরীর দিকে তাকিয়ে থাকে ঢাকা মুখী যাত্রীরা।শিমুলিয়া ঘাট থেকে দুই একটা ফেরী অতিপ্রয়োজনীয় অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বাংলা বাজারের উদ্দেশ্যে আসলেও বাংলা বাজার থেকে কোন ফেরি দুপুর পর্যন্ত ছাড়া হয়নি। বেলা একটার দিকে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলা বাজার ঘাট ম্যানেজার ঘাটে থাকা রোগীবাহী আম্বুলান্স ও যাত্রীদের নিয়ে বিপাকে পড়েন।এমন সময় তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আদেশ কর্মে স্বল্প আকারে ফেরি চলাচলের পরিকল্পনা করেন।
দুপুর একটার দিকে একটি ফেরি অ্যাম্বুলেন্স গুলো নিয়ে বাংলা বাজার থেকে শিমুলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার জন্য দুইনাম্বার ফেরিঘাটে অবস্থান করলে অ্যাম্বুলেন্স ওঠার আগেই উপচে পড়া যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় ঘাট কর্তৃপক্ষের। বাংলাবাজারের ঘাটে থাকা প্রশাসনকে টপকে যাত্রীরা ফেরিতে উঠে যায়। অ্যাম্বুলেন্স গুলো কষ্টসাধ্য ভাবে উঠিয়ে বাংলা বাজার থেকে শিমুলিয়া উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর আশপাশে থাকা যাত্রীরা ঘাটে এসে জড়ো হলে ঘাট প্রতিপক্ষের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। এমন অবস্থায় আরেকটি ফেরি ঘাটে লোড করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
যাত্রীদের সঙ্গে গাড়ি না থাকায় বিভিন্ন ভাবে যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে,পথে পথে এবং অতি জরুরী প্রয়োজনে যেতে পারছে না তাদের গন্তব্যে এমন মন্তব্য করেছেন যাত্রীরা। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়ায় যাত্রীরা স্বস্তিতে গন্তব্যে ফিরবে বলে আশা করছে।সকাল থেকেই যদি স্বল্প আকারে ফেরি চলাচল রাখতো তাহলে যাত্রীদের এমন দূর্ভোগে পড়তে হতো না বলেও অভিযোগ করেছেন দূর দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা। যাত্রীরা আরও অভিযোগ করেন পূর্বের অঘোষিত ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের দূর্ভোগে ফেলছে সরকার। সকল যানবাহন সীমিত আকারের চলাচল করলেও হঠাৎ করেই ফেরি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা আরো বিপদে পড়েছি।
দূর দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের অভিযোগ পূর্বের ভাড়ার চেয়ে অনেক গুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। তবে সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা না করে এমন অকল্পিত ফেরি বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ঘাটে থাকা যাত্রীরা। বাংলাবাজার শিমুলিয়া ঘাটে চলাচলের ফেরিতে যাত্রী ছিল বেশি ছোট-বড় পরিবহন গুলো সীমিত থাকলেও যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়কে সম্মুখীন করেই ফেরিগুলো চলাচল করতে হচ্ছে। ছোট-বড় গাড়ি সহ ছোট ছোট যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স গুলো ছিল চোখে পড়ার মতো।
ঢাকামুখী এই যানবাহনগুলো পারাপার করে দেওয়ার জন্যই ফেরি চলাচলে সিদ্ধান্ত নেন ঘাট কর্তৃপক্ষ।তবে দুপুরের পরপরই ঘাটের যাত্রীদের চাপ অনেকটাই কমে যায়।