মৌলভীবাজারে খাবারে চেতনা নাশক মিশিয়ে ডাকাতির চেষ্টা
মোঃ জাকির হোসেন,মৌলভীবাজার বৃহস্পতিবার বিকেল ০৫:৫৮, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০
২৩ ডিসেম্বর বুধবার রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৮ নং কনকপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের দুর্লভপুর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলামের বাড়িতে বুধবার দিবাগত রাতে সবার অজান্তে কে বা কাহারা খাবারের সঙ্গে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে দিলে মনের অজান্তে ফখরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার খেয়ে একে একে সবাই অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পড়লে কেউ আর কিছুই বলতে পারেননা।
ফখরুল ইসলামের ছোট ভাই খয়রুল ইসলাম বলেন রাত ১০ টার দিকে আমাদের পরিবারের সবাই আমরা এক সঙ্গে বসে রাতের খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর আমার চোখে এমন ঘুম আসে আমি আর কিছুই বলতে পারিনা তাৎক্ষণিক আমি ঘুমিয়ে পড়ি কিন্তুু আমাদের পরিবারের বাকি সবাই কে কখন ঘুমিয়ে পড়েন তা আমি আর বলতে পারিনি। সকালে আমার গাড়ি চালক কয়েস আহমদ এসে আমাকে ডাকা ডাকির এক পর্যায়ে আমি তাকে গাড়ির চাবি দিয়েছি সেটা বলতে পারি কিন্তুু কিভাবে দিয়েছি বলতে পারবোনা আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
জ্ঞান ফিরিয়ে আসলে দেখি আমি হাসপাতালে আছি আমার চিকিৎসা চলছে এখন আমি মোটামুটি ভালো আছি, তিনি বলেন আমার মনে হয় আমাদের পাকঘরের জানালা দিয়ে কেউ আমাদের ভাতের হাড়ি অথবা তরকারির হাড়িতে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে রেখে দিয়ে ছিলো সেটা আমাদের পরিবারের কেউ জানতনা।
খয়রুল ইসলামের গাড়ি চালক কয়েস আহমদ বলেন আমি সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গাড়ির চাবি আনতে গিয়ে অনেক ডাকা ডাকির পর তিনি আমাকে ঘরের ভিতর থেকে হাত বাড়িয়ে গাড়ির চাবি দিলে আমি গ্যরেজ থেকে গাড়ি বের করে এনে কনকপুর বাস স্ট্যন্ডে এসে চা খেতে বসলে খয়রুল ইসলামের চাচাতো ভাই রুহেল মাষ্টার আমাকে ফোন দিয়ে গাড়ি নিয়ে তাড়াতাড়ি বাড়িতে আসতে বললে আমি দ্রুতগতিতে তাদের বাড়িতে এসে দেখি তাদের পরিবারের সবাই অচেতন হয়ে পড়ে আছেন তাদের এই অবস্থা দেখে আমরা সবাই দ্রুতগতিতে তাদের পরিবারের সবাই কে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি।
খয়রুল ইসলামের স্ত্রীর বড় বোন বলেন সকালে আমি আমার ছোট বোনকে ফোন করলে সে ফোন রিসিভ না করায় আমি আমার বোনের স্বামী কে ফোন করলে তাকেও পাইনি .অনেক্ষণ পর যখন আমার বোন ফোন রিসিভ করে শুধু হ্যলো বলে আর কিছুই বলতে পারেনা তখনই আমার সন্দেহ হয় যে আমার বোনের কিছু হয়েছে তখনি আমি আমাদের ড্রাইভারকে ফোন করে এনে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখি তাদের পরিবারের সবাই অচেতন হয়ে পড়ে আছে।
পরেতাদেরকে আমরা সবাই মিলে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি। সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় যে ফখরুল ইসলাম( ৫০)ও তার স্ত্রী রিক্তা বেগম (৩৬) তার বড় ছেলে মোঃ সোহান ইসলাম (১৫) তার ছোট ছেলে মোঃ রুহান ইসলাম (১২) খয়রুল ইসলাম ( ৪৫) তার স্ত্রী রাহেলা বেগম ( ৩৭) তার ছেলে আফনান ইসলাম( ৯) ও তাদের মাতা নেহার বেগম (৭৫) হাসপাতালের বেডে অচেতন অবস্থায় তাদের চিকিৎসা চলছে।
ফখরুল ইসলাম ও তাদের মাতা নেহার বেগমের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় চিকিৎসক তাদেরকে দ্রুত উসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করেন।আরো জানা যায় যে তাদের গ্রামে পাশের বাড়ির সোঃ লুৎফুর মিয়ার বাড়িতে ঐ দিন ডাকাতরা ঘরের গ্রিল কেটে সোনা গয়না ও নগদ টাকা পয়সা নিয়ে যায়।