দূর্গত এলাকায় ইউএনও’র পরিদর্শন:সাঘাটায় বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী
আসাদ খন্দকার,সাঘাটা,গাইবান্ধা সোমবার বিকেল ০৫:৪২, ৫ অক্টোবর, ২০২০
গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে ও পাহাড়ী ঢলে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা আলাই ও কাটাখালী নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৩০ টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। সেই সাথে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নিচু এলাকা গুলো প্লাবিত হয়ে আমন ফসল তলিয়ে গেছে।
উপজেলার জুমারবাড়ী ইউনিয়নের বাজিতনগর, মেছট, চরপাড়া, কামারপাড়া, কামালেরপাড়া ইউনিয়নের টেংগরপুর, জালাতাইড়, বাঙ্গাবাড়ী, চাকুলী, গজারিয়া, বোনারপাড়া ইউনিয়নের বাটি, ময়মন্তপুর, দলদলিয়া, দূর্গাপুর, শিমুলতাইড়, পদুমশহর ইউনিয়নের চকদাতেয়া, ভরট্ট, কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর, পশ্চিম কচুয়া, অনন্তপুর, ওসমানেরপাড়া, সতিতলা, পাঠানপাড়া চন্দনপাঠসহ ৩০ টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দী হয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছে।
একদিকে গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে অন্যদিকে এবারের বন্যায় আমন ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
কচুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান জানান, আমার ইউনিয়নে ১২ টি গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যায় আমন ফসলসহ বেগুন, মরিচ, শাক-সবজির জমিগুলো তলিয়ে গেছে। এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় চাল ও তরিতরকারির মূল্য দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ত্রিমোহনী থেকে ওসমানেরপাড়া গ্রামের শেষ সীমানা পর্যন্ত আলাই কাটাখালী নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধ দিলে বন্যায় ফসলের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
ক্ষতিগ্রস্থ বন্যা কবলিত এলাকা গুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর পরিদর্শন করেছেন। এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিঠুন কুন্ডু উপস্থিত ছিলেন।