ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যানজট মুক্ত’ অবস্থা ধরে রাখতে বাস-ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহনের চালকদেরকে গোমতী ও মেঘনা সেতুর টোল দেয়ার সমপরিমাণ ভাংতি টাকা হাতে রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার সন্ধ্যায় গোমতী সেতু এলাকায় যান চলাচল পরিদর্শনে গিয়ে এ অনুরোধ করেন মন্ত্রী। পরিদর্শনে মন্ত্রী দেখতে পান, একটি প্রাইভেটকার ৬৫ টাকা টোলের জন্য এক হাজার টাকার নোট দেয়। এই টাকা ভাংতি করতে গিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে হয় টোল কর্তৃপক্ষকে। যার ফলে প্রাইভেটকারের পেছনে বেশ কিছু গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। এ অবস্থা দেখে চালকদেরকে টোলের জন্য ভাংতি টাকা হাতে রাখার অনুরোধ করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় ‘টোলের ভাংতি টাকা হাতে রাখার অনুরোধ সম্বলিত’ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য টোল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
পরিদর্শনের সময় ওবায়দুল কাদের সঙ্গে ছিলেন দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.), দাউদকান্দি পৌরমেয়র নাইম ইউসুফ সেঈন, ওসি দাউদকান্দি ও দাউদকা্ন্দি পৌর প্যানেল মেয়র রকিব উদ্দিনসহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য, দেশের লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। কিছু দিন আগে বহুল আলোচিত খবর ছিল গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কের গোমতী-মেঘনা সেতুর টোল আদায় সংশ্লিষ্ট ও সৃষ্ট যানজট। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সরাসরি তত্ত্বাবধান, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.)এর নিরলস দিনরাতের প্রচেষ্টা এবং পু্লিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের অবদানে গত সপ্তাহে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে এই যানজট।