বায়োফ্লকে মাছ চাষে সফলতা : নতুন দিগন্তের সম্ভাবনা
রেদোয়ান হোসেন বুধবার রাত ১১:৪৫, ২৬ আগস্ট, ২০২০
প্রচলিত পদ্ধতিতে পুকু বা খাল-বিলে নয়; আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি করা ট্যাংকিতে মাছ চাষ হচ্ছে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলাতে। নতুন এই বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন বাসুরী গ্রামের শিক্ষিত তরুণ শুভ হাওলাদার।
নবীন এ উদ্যোক্তার হাত ধরে এ পদ্ধতির মাছ চাষে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। অল্প জায়গায় বেশি পরিমাণে মূল্যবান মাছ চাষের ফলে অধিক লাভের আশা করছেন জননী বায়োফ্লোকের সত্বাধিকারী শুভ। তার সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই এগিয়ে আসছে এ চাষে। উদ্যোক্তা শুভ হাওলাদার জানান, ভারতের পুনে শহরে বেড়াতে গিয়ে এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ দেখে আগ্রহ জন্মায় তার মনে। এর পর দেশে ফিরে ইউটিউবে খোঁজ খবর নেন বায়োফ্লক সম্পর্কে। গ্রহণ করেন প্রশিক্ষণ। তার নিজ গ্রামে
শুরু করেন বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ।
শুভ আরও জানান, দেশীয় প্রজাতির শিং, কৈ, মাগুর, ট্যাংরা, পাবদাসহ বেশ কিছু মূল্যবান মাছের চাষ হচ্ছে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে। এতে বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছের উৎপাদন আবারও বাড়তে শুরু করেছে। বাজারেও তুলনামূলক কম মূল্যেই পাওয়া যাচ্ছে এসব মাছ। ১ হাজার কেজি মাছ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ট্যাংকি করতে ব্যয় হয় ৩৫/৪০ হাজার টাকা।
মাছের পোনাসহ আনুসঙ্গিক খরচ হয় আরও ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু একটি ট্যাংকি থেকে চার মাসে প্রায় ১ লাখ টাকা লাভ করা সম্ভব। পরবর্তীতে যেহেতু ট্যাংকির খরচ লাগে না সে হিসেবে পরবর্তীতে লাভের পরিমাণ আরও বাড়ে। শুভ এর দেখাদেখি এলাকার অনেক তরুণ বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই কয়েকজন তরুণ শুভর সহযোগিতায় মাছ চাষ শুরু করেছেন।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা ফনি ভূষন পাল জানান, বায়োফ্লক পদ্ধতির মাছ চাষে আগ্রহীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।