হুমকির মূখে বসতি,রাণীনগরে বন্ধ পানি নিষ্কাশনের পথ
আবু ইউসুফ,নওগাঁ বুধবার রাত ১০:৪৩, ৩০ জুন, ২০২১
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা গ্রামে মাঠের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বেশ কিছু ফসলি জমি অনাবাদিতে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও রাস্তার পাশে কয়েকটি বাড়ি-ঘর জলাবদ্ধতার কারনে হুমকির মুখে পড়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার একডালা গ্রামের স্কুল পাড়ার পূর্ব মাঠে ৮-১০ বিঘা ফসলি জমি রয়েছে। সেখানে বর্ষাকালে জমে থাকা বৃষ্টির পানি ওই গ্রামের রাস্তার কালভার্টের মুখ দিয়ে নিষ্কাশন হতো। দীর্ঘদিন আগে একডালা গ্রামের রাস্তার পাশে কয়েক জমি পর ওই গ্রামের মোজাম্মেল ও মকবুল হোসেন নামে দুই ব্যক্তি পুকুর খনন করে পুকুরপাড়ে বাগান তৈরি করেন। সেই সময়েও তাদের দুইজনের পুকুরের মাঝখানে ড্রেন দিয়ে ওই জমিগুলোর জলাবদ্ধতার পানি বের হয়ে যেত কিন্তু সেটিও চলতি মৌসুমে বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া ওই জায়গায় ফসলি জমির মাঝখানে রেখে ওই গ্রামের আলাল, মোজাম্মেল ও সৌখিন নামে তিনজন ব্যক্তি অপরিকল্পিত ভাবে ছোট বড় পুকুর ও ডোবা তৈরি করেছেন।এতে সৌখিন উদ্দিনের ডোবার পাড়ের কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ আবারও বন্ধ হয়ে যায়।
এতে করে জমির এক সাইটে রাস্তা আরেক সাইটে ছোট বড় পুকুর ও ডোবার কারণে ওই মাঠের কোনায় জমিগুলোতে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের পথ একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে জলাবদ্ধতার কারণে ফসলি জমি অনাবাদি জমি হিসাবে পরিণত হয়েছে। এছাড়া মাঠে পানি বৃদ্ধির কারণে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েছেন আশেপাশের সাইদার রহমান সাইদ,আবুল কালাম সহ কয়েক পরিবার। দ্রুত মাঠের জলাবদ্ধতার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
একডালা গ্রামের সাইদার রহমান সাইদ,আবুল কালামসহ আরো অনেকেই বলেন,মাঠের মধ্যে অপরিকল্পিত ভাবে ছোট বড় পুকুর ও ডোবা তৈরি করায় মাঠের জমিতে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে আমাদের বাড়ির পাশের লাগানো গাছ দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার বাড়ির খলিয়ান পর্যন্ত পানি উঠে যাচ্ছে। ভারি বর্ষণ হলে পানি উঠে যে কোন সময় বাড়ী ঘর ধ্বসে পরতে পারে। আমরা বেশ কয়েকবার বলেও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারিনি।
এ ব্যাপারে পুকুরের মালিক মোজাম্মেল হক বলেন,ওই জমিগুলোর পানি আগে আমাদের পুকুরের পাশে মকবুলের পুকুরের পশ্চিম দিক দিয়ে নিষ্কাশন হতো। সেখানে একজন ডোবার পাড় বেধে দেওয়ার কারনে হয়তো এই সমস্য হচ্ছে।
ডোবার মালিক সৌখিন উদ্দিন বলেন,আমি কোন পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করিনি। মোজ্জাম্মেলই পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে একডালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম বলেন,এব্যাপারে স্থানীয় লোকজন আমাকে জানিয়েছে। দ্রুত উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।