হাজিপুর বাইক্কাবিল রাস্তার কাজের অনিয়মের অভিযোগ
মোঃ জাকির হোসেন,মৌলভীবাজার সোমবার দুপুর ০২:১৭, ৯ নভেম্বর, ২০২০
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৫ নং কালাপুর ইউনিয়নের বরুনা-হাজীপুর গ্রামের বাইক্কাবিল সড়কের প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কাজে অনিয়ম হওয়াতে এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের দাবি নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে কাজ করা হচ্ছে ।
জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরুনা গ্রামের চৌমোহনা পয়েন্ট হতে হাজীপুর বাজার দিয়ে বাইক্কাবিল সড়কের ১৮০০ মিটার সংস্কার কাজ পায় শ্রীমঙ্গলের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেবাংশু এন্টারপ্রাইজ। কিন্তুু কাজটি পাওয়ার পর ঠিকাদার এক্সাভেটর (মাটি কাটার মেশিন) দিয়ে খোড়ে বের হওয়া কংক্রিট দিয়ে রাস্তার মেকাডম করা হয়। তখন রাস্তার দুপাশে সমানভাবে ইট না লাগিয়ে কিছুদূর পরপর ইটের গাঁথুনি দেয়া হয়।
তবে চলতি নভেম্বর মাসে রাস্তার কাজ শেষ করার কথা। গত অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে তড়িঘড়ি করে রাস্তার ঢালাইর কাজ শুরু করা হয়। এলজিইডি থেকে প্রাপ্ত ওয়ার্ক ওয়ার্ডারে এক ইঞ্চি পরিমান ঢালাইয়ের কাজ করার কথা থাকলেও তা সঠিকভাবে হচ্ছে না। এ নিয়ে ঐ এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের দাবি,এই রাস্তা দিয়ে শ্রীমঙ্গলের ঐতিহ্যবাহী বাইক্কাবিলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন আসা যাওয়া করেন। এছাড়া হাইল-হাওরে বহু সংখ্যক মৎস খামার গড়ে উঠেছে। রাতদিন মাছ বহনকারী গাড়িসহ বরুনা-হাজীপুর গ্রামের প্রায় ১৫ থেকে ১৬ হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাফেরা করেন। এই রাস্তাটির নির্মাণ কাজ ভালো এবং টেকসই না হলে সহজেই তা ভেঙে বিপদজনক হতে পারে। এতে ঐ রাস্তায় চলাচল কারি সাধারন মানুষের সকলেই ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বরুণা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বরুনা-হাজীপুরের হাজার হাজার মানুষ ও শতশত ছোট-বড় গাড়ি এ সড়ক দিয়ে আসা যাওয়া করে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে খুব নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। এক ইঞ্চি কার্পেটিং এর কথা থাকালেও কোন স্থানে হাফ ইঞ্চি কোন স্থানে আবার সোয়া ইঞ্চি কাজ করা হচ্ছে। এতে রাস্তাটি টেকসই হওয়াতো দুরের কথা খুব অল্পদিনেই ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রহিয়াছে। তারা সঠিকভাবে কাজ করার দাবি জানান।
হাজীপুর গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, জনবহুল এ রাস্তায় অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ করার জন্য এলাকার মানুষ দাবি জানালেও তা আমলে নেওয়া হচ্ছে না। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে অসন্তেুাষ বিরাজ করছে।
তারা আরও বলেন, আমরা ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করেছি। ঠিকাদার আমাদের জানিয়েছেন ‘সাব- মাধ্যমে এই কাজ করানো হচ্ছে। কাজ তো ঠিক মতো করার কথা।’ বিষয়টি তিনি এমনভাবে বলেন যে তার প্রতিষ্টানের কোন দায় নেই।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেবাংশু এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্তাধিকারি দেবাংশু জানান, এলাকার লোকজন অভিযোগ করছেন কিন্তু উপজেলা প্রকৌশল অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলেই উপস্থিত থেকে তদারকি করছে। যদি কোন ত্রুটি পাওয়া যায় অবশ্যই আমি করে দিতে বাধ্য থাকিব
শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকৌশলী সঞ্জয় মোহন সরকার মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগের কথা শুনেছি। কিন্তু আমাদের লোকজন ঘটনাস্থলে আছে। তারপরও আমরা বিষয়ের প্রতি মনোযোগ সহকারে দেখছি।