Alauddin Islam শুক্রবার রাত ০৯:২০, ২১ জুলাই, ২০১৭

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) , ২১ জুলাই,
দাউদকান্দিতে যুবলীগের সম্মেলনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অবঃ)সুবিদ আলী ভূইয়া এমপিকে হত্যা চেষ্ঠায় ঘাতক মোকারমকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার। গুলিটি লক্ষ্যহীন হয়ে ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিন ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল হক সবুজ গুলিবিদ্ধ হয়।বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশী পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলিসহ তাকে গ্রেফতার করে।আটকৃত ঘাতক মোকারম উপজেলা ছান্দ্রা গ্রামের রজব আলী মোল্লার বাবা-মায়ের অবাধ্য ছেলে। আজ শুক্রবার দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিার বিকেলে উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নের আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অবঃ) সুবিদ আলী ভূইয়া,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) মোহাম্মদ আলী সুমন, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সারওয়ার হোসেন বাবুসহ উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক শাহজাহান খন্দকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ যখন মঞ্চে উপস্থিত হন। তখন সমাবেশ স্থলে চারদিক থেকে কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা জনশ্রোতের মত মিছিল আসতে শুরু করে। তখন মিছিল মাঝখানে দাউদকান্দি ও মেঘনা গণমানুষের নেতা সুবিদ আলী ভুইয়াকে লক্ষ্য করে কিলার মোকারম গুলি ছুড়লে গুলিটি লক্ষ্যহীন হয়ে ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী মাহবুবুল আলম সবুজের বাম হাতে গুলিবৃদ্ধ হয়। সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসাপতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ খবর পেয়ে কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপরসহ দাউদকান্দি মডেল থানার কর্মকর্তাগণ রাতভর অভিযান চালিয়ে রাতেই কিলার গ্রুপের সদস্য মোকারমকে মালিখিল একটি বাড়ি থেকে একটি বিদেশ পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতারের পর পুলিশ অনেক তথ্য পেয়েছে তার সাথে জড়িত অন্যন্যাদের ধরার স্বার্থে তা গোপন রাখার হয়েরছ।
মেজর জেনারেল (অবঃ) সুবিদ আলী ভূইয়া এমপির ছেলে ও দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর অবঃ মোহাম্মদ আলী সুমন বলেন, ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ও দক্ষিন যুবলীগের সম্মেলনে প্রার্থীরা তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে যখন সামাবেশ স্থলে আসতে শুরু করে তখন এমপি সাহেব মঞ্চে তাদেরকে করতালি গ্রহন করছেন। সেই সময় ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিন ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সবুজ মঞ্চের পূর্ব পাশে দাড়ানো ছিল। এমপি সাহেবকে লক্ষ্য করেই কিলার সদস্য গুলি করেছিল। তা লক্ষ্যহীন হওয়ায় যুবলীগ নেতার ওপর গুলিটি লাগে। যদি যুবলীগ নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করতো তাহলে সে মালিখিল গ্রাম থেকে মিছিল নিয়ে আসার সময় তাকে গুলি করতে পারতো। তবে মঞ্চের নিকটে কেন গুলি করা হলো। তার রহস্য পুলিশ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার বেরিয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
এব্যাপারে দাউদকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমরা রাতভর অভিযান চালিয়ে ঘাতক মোকারমকে চার রাউন্ড গুলি ভর্তি বিদেশী পিস্তলসহ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম করতে হই। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য পেয়েছি। তবে তদন্ত স্বার্থে তা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।