সিলেটে সীমান্তহাটের স্থান নিয়ে ২য় বারের মতো পতাকা বৈঠক বিষয়টি অমিমাংশিত
ইবাদুর রহমান জাকির,সিলেট মঙ্গলবার রাত ১১:৫৮, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
বিয়ানীবাজার উপজেলায় সিলেট জেলার তৃতীয় সীমান্ত হাটের জায়গা পরিদর্শনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ভারতের প্রশাসনের দায়িত্বশীলবৃন্দ আলোচনা সভা করেছেন। মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের নওয়াগ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকার প্রস্তাবিত সীমান্ত হাটের জায়গা পরিদর্শন করেন তারা। তবে দুই দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ স্থান নির্ধারণ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করলে বিষয়টি উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন মহলে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিয়ানীবাজার সীমান্ত হাট বসানোর লক্ষ্যে মুড়িয়া এলাকার নওয়াগ্রামের সীমান্ত পিলারের (১৩৬৩-১৩৬৪) মধ্যবর্তী নো ম্যান’স ল্যান্ডে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দু দেশের প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের পক্ষে অতিরিক্ত সিলেট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মাহফুজুর রহমান, এএসপি আমিনুল ইসলাম, বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি মাহবুব, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুশফিকুন নূর , বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের এডি মুমিনুল ইসলাম, বিয়ানীবাজার থানার ওসি হিল্লোল রায়, মুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, নওয়াগ্রাম বিজিবি ফাঁড়ির ইনচার্জ নায়েজ সুবেদার আবদুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, সীমান্ত হাটে কাপড়, সাবান, মসলা, শিশুদের জিনিসপত্র, গৃহস্থালির নানা জিনিসপত্র, তেল, ঘি, মশার কয়েল, প্লাস্টিকের আসবাব, সিরামিকস ও কসমেটিকস সামগ্রী বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের সর্বোচ্চ ৫০ জন করে মোট ১০০ জন ব্যবসায়ী সীমান্ত হাটে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। হাট ঘিরে পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সপ্তাহের রবি ও বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে সীমান্ত হাটের কার্যক্রম। সীমান্ত হাটে ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ক্রেতা-বিক্রেতার পরিচয়পত্র ইস্যু করা হবে। হাটে প্রবেশের জন্য উভয় দেশের দুই দিকে দুটি গেট থাকবে। এছাড়া থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, শৌচাগার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী মাহবুব বলেন, হাটের স্থান নির্ধারণ নিয়ে দুই দেশ একমত না হওয়ায় বিষয়টি উর্ধ্বতন দায়িত্বশীলদের জানানো হবে।