ঢাকা (রাত ১১:৫২) সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

Join Bangladesh Navy


সাপাহারে অনলাইনে বিক্রির জন্যে প্রস্তুত রয়েছে সাড়ে ৩১ হাজার গবাদিপশু

গোলাপ খন্দকার,সাপাহার(নওগাঁ) গোলাপ খন্দকার,সাপাহার(নওগাঁ) Clock শুক্রবার সন্ধ্যা ০৬:১৪, ৯ জুলাই, ২০২১

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলায় বিক্রির জন্য সাড়ে ৩১হাজার কোরবানির গবাদিপশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারনে বাংলাদেশে চলছে কঠোর লকডাউনের ২য় ধাপ আর কয়েকদিন পর ঈদুল আজহা। পশুরহাট গুলো সরকারি ভাবে বন্ধ আছে সে জন্যে এবার অনলাইনে চলবে কেনা-বেচা সাপাহার প্রাণিসম্পদ অফিসের মাধ্যমে উপজেলায় অনলাইন পশুরহাট, সাপাহার, নওগাঁ এই পেজের মাধ্যমে প্রাণি সম্পদ অফিসাররা ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে এই গরুগুলো বিক্রিতে খামারিদের সহযোগিতা করছেন।

জানাগেছে এবার উপজেলার ৩ হাজার ৭৯২ জন খামারির সাড়ে ৩১ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুর রয়েছে কোরবানির হাটে বিক্রির জন্যে কিন্তু বর্তমানে কঠোর লকডাউনের ২য় ধাপ চলমান রয়েছে এবং সরকারি বিধিনিষেধের মধ্যে পশুরহাট বন্ধের জন্যেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে তাই উপজেলায় কোন পশুর হাট বসছেনা।

এদিকে ঈদুল আজহা আসতে আর কয়েক দিন বাকী আছে। এবার হাট বসিয়ে কোরবানির পশু বিক্রি করা যাবে কিনা এই আশংকায় গড়ে উঠেছে অনলাইন প্লাটফর্ম।সাপাহার উপজেলার খামারিদের কথা চিন্তা করে প্রাণি সম্পদ অফিস উদ্যোগ নিয়েছে অনলাইনে গবাদিপশু পশুর ছবি শেয়ার করে সারাদেশে প্রচারনার মাধ্যমে উপজেলার গবাদিপশু গুলোকে বিক্রির সুন্দর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং পেজের নাম দিয়েছে অনলাইন পশুরহাট, সাপাহার, নওগাঁ।

সাপাহার উপজেলা প্রাণি সম্পদ সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৭৯২ টি পশুর খামারি রয়েছে। খামার গুলোতে মোট ৩১ হাজার ৭৫৭ টি পশু রয়েছে। যার মধ্যে গরু ও মহিষ ১৪ হাজার ৮২৬টি এবং ছাগল ও ভেড়া ১৬৯৩১ টি।

খামারিরা জানান, প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরামর্শে পুষ্টিকর খাবার- খৈল, গম, ভুষি, ছোলাসহ সবুজ ঘাস খাইয়ে খুব সহজেই গবাদিপশু মোটাতাজা করেছেন। ক্ষতিকর স্টেরয়েড বা হরমোন ব্যবহার করা হয়নি।

কোরবানির পশু বিক্রির জন্যে প্রতি বছর উপজেলার ৩টি পশুর হাট জমজমাট ভাবে চলে কেনা-বেচা। গত বছর থেকে করোনার কারনে হাটে না গিয়ে এলাকার মানুষ খামারে গিয়ে সরাসরি গরু কিনতে দেখা গেছে। গতবছর থেকে করোনা মহামারির জন্যে হাট গুলো একটু ঢিলেঢালা ভাবে চলছে। আগের চেয়ে কেনা-বেচা একটু কম। গরুর হাটে প্রশাসনের নজরদারিতে আর মানুষ জরিমানার ভয়ে হাটে গিয়ে গরু কিনতে স্বাচ্ছন্দবোধ করছে না। তাই এবার খামারে গিয়েই বেশি গরু কেনা-বেচা হচ্ছে। তার সাথে সাপাহার প্রাণি সম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় অনলাইন পশুর হাট সাপাহার নওগাঁ নামে পেজের মাধ্যমেও চলছে কেনা-বেচা।

উপজেলার সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট বসে উপজেলা সদরের তাজপুর হাটে যা লাগে শনিবারে, তারপর দিঘীর হাট লাগে বৃহস্পতিবার এবং ওমইল হাট লাগে মঙ্গলবার ।এই সকল হাটে কোরবানির পশু পুরোদমে কেনা-বেচা চলে। সরকারি নির্দেশনা পেলে এবারও চলবে পুরোদমে কেনা-বেচা। তার সাথে অনলাইনও পিছিয়ে থাকবে। প্রাণি বিভাগের মাঠ কর্মীরা প্রতিদিন গরুর ছবি তুলে অনলাইনে শেয়ার করছে গবাদিপশু বিক্রির জন্যে।

সাপাহার উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আশীষ কুমার দেবনাথ বলেন, এবার করোনা মহামারীর কারনে সরকারি বিধিনিষেধে পশুর হাট বন্ধ থাকায় উপজেলার খামারিদের কথা চিন্তা করে সাপাহার প্রাণী সম্পদ বিভাগের প্রচারণায় ও সহযোগিতায় আমাদের প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মীরা উদ্যোগ নিয়ে সব পর্যায়ের খামারে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পশু উৎপাদনে পশু সম্পদ বিভাগের সকল কর্মকর্তা ও কর্মীরা দলগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করেছে। এবং এই অনলাইনে পশু বিক্রির জন্যে কর্মীরা প্রতিদিন মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন খামারের গবাদিপশুর ছবি তুলে এই পেজ এ প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই পেজের মাধ্যমে গবাদিপশু দেখে কিনছেন ক্রেতারা এবং সামনে আরো কেনা-বেচা হবে। এই পেজের মাধ্যমে উপকৃত হবে উপজেলার খামারিরা।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT