সাতক্ষীরায় ছেলের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ এনে পিতার সংবাদ সম্মেলন
মোঃ কামরুজ্জামান রবিবার রাত ১১:১৬, ১৭ মে, ২০২০
আজহারুল ইসলাম সাদী, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরায় এক ছেলের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ এনে, অন্য ছেলেদের রক্ষা করতে পিতার সংবাদ সম্মেলন। জানা গেছে, এক ছেলের মারপিট, অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে অন্য ছেলেদের রক্ষার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে বৃদ্ধ পিতা শহরের ইটাগাছা ( পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন) গ্রামের মৃত হাজের আলি গাজীর ছেলে মোহাম্মদ তারু গাজী আজ রবিবার ১৭ মে ২০২০ দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলন উক্ত দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, আমি ৮০ বছরের একজন বৃদ্ধ, আমার ১০ ছেলে মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ভূমি সহকারি (নায়েব) পদে কর্মরত আছেন। সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে সম্প্রতি তিনি জোরপূর্বক আমার ভিটাবাড়ির সামনের অংশ দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছেন। বর্তমানে পিছনে থাকা আমার অন্য সন্তানদের অংশের সম্পত্তিও দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে সে। তার নায়েব ছেলে চাকুরি পেয়ে কোটি কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক হয়েছে। সন্তান নামের কলঙ্ক নায়েব রফিকুল বাবা-মা’র ভরণ-পোষন তো দূরের কথা আমার স্ত্রী (তার মা) কে একাধিকবার মারপিটও করেছে। এছাড়া বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এসময় আমার ছোট ছেলে আরিফুল ইসলামসহ অন্যান্য সন্তানরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে খুন-জখমের হুমকি প্রদর্শন করে। এমনকি ২০/২৫ লাখ টাকা খরচ হলেও আরিফুলকে হত্যা করার হুমকি দেয় সে। তিনি আরো বলেন, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারী সকালে আমার ভিটাবাড়ির পিছনে বসবাসকারি সন্তানদের চলাচলের রাস্তা আটকানোর বিষয়ে প্রতিবাদ করলে সন্তান নামের কলঙ্ক নায়েব রফিকুল, তার স্ত্রী জাহানারা খাতুন, মেয়ে সাদিয়া আফরিন নিশু আমার স্ত্রী সালেহা খাতুনকে বেধড়ক মারিপটি করে। এমনিতেই অসুস্থ্য থাকায় তাদের মারপিটে আমার বৃদ্ধা স্ত্রীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। এঘটনার পর ২৪ ফেব্রুয়ারী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করলে আমার নায়েব ছেলে রফিকুল ইসলাম স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ করে বলে, পূর্বের ঘটনা জন্য সে লজ্জিত। ভবিষ্যতে এধরনের জঘণ্য কাজ আর সে করবে না। কিন্তু তার স্বভাবের কোন পরিবর্তন হয়নি। বৃদ্ধ তারু গাজী বলেন, নায়েব ছেলে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।