সাঘাটায় ত্রিমোহনী সেতুর সংযোগ সড়কে ধস
আসাদ খন্দকার,সাঘাটা,গাইবান্ধা বৃহস্পতিবার বিকেল ০৫:০৫, ১৯ আগস্ট, ২০২১
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের ত্রিমোহনী সেতুর পশ্চিম পাড়ে সেতুর পাশাপাশি দুটি স্থানে সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। গতবছর কোনো রকমে বালু মাটি দিয়ে ধসে যাওয়া স্থান পুরন করলেও এবার বর্ষার শুরুতেই বৃষ্টির পানির তোরে সেখানকার বালু মাটি ধসে আবারো গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে। এই খাদের পশ্চিম পাশে আরো একটি খাদের সৃষ্ঠি হয়েছে।
কিন্তু এবার ওই খাদের ভরাট ব্যাপারে কোথাও থেকে কোনো ধরণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।ফলে জরুরী ভাবে মেরামতের উদ্যোগ না নিলে যেকোন সময় ধসের স্থান আরও বড় আকারে খাদে পরিনত হয়ে চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, গতবছর ঘুর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ভারী বর্ষণ চলাকালীন সময়ে সেতুর উপরের পানির ঢল নেমে সেতুর পশ্চিম পাড়ে সংযোগ সড়কের দক্ষিণ পাশে ধসে যায়। পরের দিন বর্ষণ আবারও বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন বড় আকার ধারন করে। সেতুর সন্নিকটেই এমন ধস দেখা দিলে কিছুদিন পর বালু মাটি দিয়ে কোনো রকমে ভরাট করলেও এবার অল্প বৃষ্টিতেই আবারো পূর্বের চেয়ে বড় আকারের খাদের সৃষ্টি হলেও তা গত ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত মেরামতের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সেতুর পশ্চিম পাড়ের বিষপুকুর গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব হোসেন জানান, সড়কটির সামান্য ভাঙা থেকে দিনদিন আরও বেড়ে যাচ্ছে। এটি মেরামত করা না হলে ধসে যাওয়া অংশ বেড়ে গেলে সেতু উপর দিয়ে দু’পাড়ের মানুষের চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কনস্ট্রাকশন অব লং ব্রীজ-১, উপজেলা এ- ইউনিয়ন রোডস প্রজেক্টের (এলবিসি) আওতায় কাটাখালী নদীর উপর ৪০২৫ মিটার সেতুর কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালের ২১ অক্টোবর।সেতুর নির্মাণ ব্যয় হয় ২৪ কোটি ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৬০ টাকা। পরবর্তীতে কাজ সম্পন্ন হলে ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর সেতুর উপর দিয়ে চলাচলের উদ্বোধন করা হয়। ফলে দু’পাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়। সড়ক সংযোগে ধসের ব্যাপারে কথা বললে, গাইবান্ধা এলজিইডির সিনিয়র-সহকারী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম জানান, সড়ক ধসের স্থান ভরাট করার জন্য শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।