সহজ প্রতিপক্ষের বিপরীতে কষ্টের জয় টাইগারদের
নিজস্ব প্রতিনিধি সোমবার রাত ০২:১০, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে খেলছে বাংলাদেশ। কিন্তু অপেক্ষাকৃত দূর্বল দলটির সামনেও ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই হতাশা দেখালো বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন হয়নি। আফিফ হোসেনের লড়াকু ইনিংসে ভর করে আরব আমিরাতের বিপক্ষে কষ্টের জয় তুলে নিয়েছে লাল-সবুজের দল।
রোববার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আরব আমিরাতকে সাত রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
এদিনও বরাবরের মতো হতাশা দেখিয়েছেন টপ অর্ডার ব্যাটাররা। ব্যাটিংয়ের পর বোলিংও ছিল নড়বড়ে। দেদারসে রান বিলিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ছন্দে পাওয়া যায়নি মুস্তাফিজ-নাসুমকেও। ফলে আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয় পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আরব আমিরাতের বিপক্ষে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৫৮ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে শেষ ওভারে গিয়ে ১৫১ রানে থামে আরব আমিরাত।
এদিন টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে খেলা শেষ ম্যাচের দুই ওপেনার সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ওপর ভরসা রাখে টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু দুজনেই ব্যর্থ হন। রানের খাতাও খুলতে পারেননি সাব্বির আর মিরাজ ফেরেন ১৪ বলে ১২ রান করে।
এরপর একে একে লিটন দাস, ইয়াসির আলি রাব্বি ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সতীর্থদের আশা যাওয়ার মিছিলে উইকেটে থিতু ছিলেন আফিফ হোসেন। ৩৮ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
আফিফের ব্যাটে চড়েই কোনো মতে এই পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ৫৫ বলে অপরাজিত ৭৭ রান করেন আফিফ। তার ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কা। শেষ দিকে নেমে নুরুল হাসান সোহান দুই ছক্কা ও দুই চারে করেন ২৫ বলে ৩৫ রান।
আসন্ন অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই ম্যাচের একটি সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মূলত বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা একাদশ বাছাইয়ের জন্য এই ম্যাচগুলো ড্রেস রিহার্সাল।
এই সিরিজে নেই বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার বদলে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নুরুল হাসান সোহান।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৭ অক্টোবর। ম্যাচ দুটির ভেন্যু দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এরপর ২৮ তারিখ বাংলাদেশ দল ফিরে আসবে ঢাকায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৫৮/৫ (মিরাজ ১২, সাব্বির ০, লিটন ১৩, আফিফ ৭৭*, ইয়াসির ৪, সৈকত ৩, সোহান ৩৫*; জুনায়েদ ৪-০-৩৩-০, সাবির ৩-০-১৬-১, আয়ান ৩-০-১৬-১, ফরিদ ৪-০-৩৮-১, মিয়াপ্পান ৪-০-৩৩-২, হামিদ ২-০-১৬-০)।
সংযুক্ত আরব আমিরাত : ১৯.৪ ওভারে ১৫১ (ওয়াসিম ১৫, সুরি ৩৯, লাকরা ১৯, অরবিন্দ ১৬, রিজওয়ান ৫, হামিদ ২, আয়ান ২৫, ফরিদ ২, মিয়াপ্পন ১২, জুনাইদ ১১, সাবির ০*; সাইফ ৪-০-৪০-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৩১-২, নাসুম ৪-০-৩১-০, শরিফুল ৩.৪-০-২১-৩, মিরাজ ৩-০-১৭-৩, সৈকত ১-০-৯-০)।
ফল : বাংলাদেশ ৭ রানে জয়ী।