লাইসেন্স বিহীন র্ফামেসীতে সরকারি ভ্যাক্সিন : হয়নি শাস্তি, চলছে চাপা গুঞ্জন
মো. শাকিল হোসেন শওকত, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) শনিবার সকাল ১১:০১, ১৩ মে, ২০২৩
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সোইয়াব ভেটেরিনারী র্ফামেসী থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ কৃত ১৯১ পিছ সরকারি ভ্যাক্সিন জব্দ করেছে টাঙ্গাইলের ড্রাগ সুপার। কিন্তু ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি না হওয়ায় এলাকায় চলেছে চাপা ক্ষোভ।
গত ৯ মে বুধবার সরকারি সম্পত্তি বিক্রির জন্য নয় এটি লেখা থাকার পরেও লাইসেন্সবিহীন সোইয়াব ফার্মেসি থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি সম্পদ উদ্ধার করে ঔষধ প্রশাসন। এতকিছুর পরেও এ কাজের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান আইনগত পদক্ষেপ না নেয়ায়, পুরো এলাকায় চলছে চাপা ক্ষোভ।
এ ঘটনায় সোইয়াব ভেটেরিনারী র্ফামেসীর স্বত্বাধিকারী মো. লুৎফর রহমান বলেন, পশু হাসপাতাল থেকে আমাকে দিয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মনির উদ্দিন আহামেদ বলেন, আমাদের নিয়মিত কাজের একটি অংশে সোইয়াব ভেটেরিনারী র্ফামেসী থেকে আমরা ১৯১ পিছ গবাদিপশু রোগের বিভিন্ন ভ্যাক্সিন পেয়েছি। এছাড়াও লাইসেন্স বিহীন কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পেয়েছি। এ সব ঘটনায় ১৯৪০ এর ড্রাগ এক্ট অনুয়ায়ী বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ঘটনায় উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, সামনে ঈদ। শুক্র শনিবার এবং প্রতিদিন বিকেল ৫টার পর আমাদের দপ্তর বন্ধ থাকে, তাই এই ভ্যাকসিন কার্যক্রমকে প্রসার করতে খামারী লুৎফর রহমানকে ভ্যাকসিন গুলো দেয়া হয়েছে। খামারীরা যাতে যে কোন সময় প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো ব্যবহার করতে পারে। সে যাতে নির্ধারিত মূল্য খামারিদের কাছে সেগুলো দিতে পারে। আমাদের কাছে ষ্টক থাকার সাপেক্ষে যেকোনো ভ্যাকসিন যেকোনো পরিমাণে সরকার নির্ধারিত মূল্যে যে কেউ কিনতে পারে।
ক্রয় মূল্য এবং বিক্রয় মূল্য সমান হলে তাহলে ব্যবসায়ীর লাভ কোথায়? প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন আসলে, ভ্যাক্সিন সহজ প্রাপ্য করতেই আমরা তাকে দিয়েছি।
এধরনের বেআইনি কার্যক্রমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন লাইসেন্সধারী ঔষধ ব্যবসায়ীরা, এ ব্যবসা সংক্রান্ত সকল আইন মান্য করে তাহলে আর কি লাভ!
এছাড়াও প্রান্তিক খামারি ও সাধারণ মানুষের মুখে মুখে গত কয়েকদিন ধরে একটি কথাই আলোচনা হচ্ছে “বৈধ আর অবৈধ কি এবং কোনটা করা উচিত আর কোনটা করা উচিত না, এটাই তো আমরা বুঝতে পারছি না “।