ঢাকা (রাত ২:৩৯) শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং

রাত পোহালেই উদ্বোধন হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু

<script>” title=”<script>


<script>

বহু আকাঙ্ক্ষার স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হচ্ছে আজ শনিবার (২৫ জুন)। এদিন সকালের দিকে কোটি মানুষের কাঙ্ক্ষিত সেতুটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণ ঘিরে নদীর দুই পাড়েই সাজ সাজ রব। ইতোমধ্যে উদ্বোধনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষ যোগ দেবেন। এ জন্য মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে উন্মোচন ও সুধী সমাবেশসহ বিভিন্ন আয়োজন থাকছে। আর উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠান রাখা হয়েছে মাদারীপুরের বাংলাবাজারে। এছাড়াও থাকছে জনসমাবেশ। এ জন্য ঘাটের ৮ কিলোমিটার জুড়ে সাত শতাধিক মাইক স্থাপন করা হয়েছে।

আর বিশাল এই আয়োজনের জনসমাগমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনসহ দূরদূরান্তের অতিথিরাও অংশ নেবেন।

এছাড়া পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তায় র‍্যাবসহ সাড়ে পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এজন্য ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা বলয় সাজানো হয়েছে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ও অপপ্রচার রোধে সর্বোচ্চ নজরদারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে শনিবার সেতুটি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।

প্রসঙ্গত,”পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প” রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। প্রকল্পটির অবস্থান মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলায়। আর সেতুটির উত্তরে রয়েছে মাওয়া, লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ এবং দক্ষিণে জাজিরা, শরীয়তপুর, শিবচর ও মাদারীপুর।

২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর মূল পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর মোট নির্মাণ ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। সেতুটি নির্মাণ করেছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। মূল সেতুতে কংক্রিট ও স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে। এতে পিলার রয়েছে মোট ৪২টি, স্প্যান ৪১টি ও বাতি রয়েছে ৪১৫টি।

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার (২০ হাজার ২০০ ফুট) এবং প্রস্থ ১৮ দশমিক ১০ মিটার (৫৯ দশমিক ৪ ফুট)। এর দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক রয়েছে, যা ১৪ কিলোমিটার এবং দুই পাড়ে নদীশাসন ১২ কিলোমিটার।

দ্বিতলবিশিষ্ট এই সেতুটির ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের পাশাপাশি নিচ দিয়ে থাকবে রেলপথ। এছাড়া গ্যাস ও অপটিক্যাল ফাইবার লাইন সরবরাহেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT