যে কারনে সংসদীয় সীমানা পরিবর্তনের এখতিয়ার নেই ইসির: আ’লীগ
Alauddin Islam বৃহস্পতিবার রাত ১১:৩৮, ১২ এপ্রিল, ২০১৮
ঢাকা : সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপিদের প্রচারণা ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ রেখে আচরণবিধির পরিবর্তন চেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে একথা জানান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্ট এইচটি ইমাম।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদীয় সীমানা ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) পরিবর্তন চাই না। আগামী আদম শুমারির আগে সংসদীয় সীমানায় পরিবর্তন আনার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই। এ সংক্রান্ত পরিবর্তন আনলে তাদের আইনি জটিলতার মুখে পড়তে হবে। বিক্ষুব্ধরা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন।’
এইচটি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে বৈঠক করে। পরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনাদের বক্তব্য শুনে সিইসি বলেছেন- এগুলো কমিশন সভায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলেই প্রজ্ঞাপন জারি: জনপ্রশাসন সচিব
ঢাকা : সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা পেলেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।
তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে। এটি নিয়ে তাড়াহুড়োর কিছু নেই। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক এ কথা বলেন।
প্রজ্ঞাপন কবে নাগাদ হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘যথাসময়েই হবে।’
সব চাকরির ক্ষেত্রেই কোটা বাতিল হবে কি না—এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘সুস্পষ্ট নির্দেশনা পেলেই এই বিষয়ে বলা যাবে।’ প্রজ্ঞাপনের সময়ই এসব বিষয়ে উল্লেখ থাকবে বলে জানান তিনি।
তবে কোটা বাতিল করা হলেও এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী বিষয়ে সুপারিশ করা হবে বলে জানান তিনি। কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে গত রোববার থেকে চলা দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যেই বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা পদ্ধতি তুলে দেয়ার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনো কোটার দরকার নেই। কোটা পদ্ধতি তুলে দিলাম। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সবাই চাকরিতে আসবে। আর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের চাকরির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে চলমান আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা কোটা পদ্ধতি বাতিল করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। একই সঙ্গে তারা দ্রুত সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করার আহ্বান জানান।