মেডিকেলে মেয়ের চান্সপ্রাপ্তিতে গ্রামে আনন্দভোজ
ওবায়দুর রহমান, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) বৃহস্পতিবার দুপুর ০১:৩৪, ২৩ মার্চ, ২০২৩
চলতি বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির চান্স পাওয়ায় প্রশংসায় ভাসছে মেধাবী শিক্ষার্থী ফারজানা আফরিন মিথী। এমন সাফল্যে গত মঙ্গলবার গ্রামবাসীর জন্য আনন্দভোজের আয়োজন করেছেন মিথীর বাবা আস্থা ফিডসের সিইও এম এ মালেক।
অন্যদিকে মিথীর এ আনন্দে আনন্দিত হয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে কেক কেটেছে গ্রামবাসী।
মিথীর বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সিধলা ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া গ্রামে। দুই বোনের মধ্যে মিথী বড়। তার ছোট বোন সাদিয়া আফরিন অবন্তি ময়মনসিংহের প্রগ্রেসিভ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মিথি ২০২০ সালে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৫.০০ পেয়ে ও মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ ৫.০০ পেয়ে এইচএসসি কৃতিত্বে সাথে উত্তীর্ণ হয়।
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান মিথী। মিথীর মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় তার গ্রামের বাড়ি বালিয়াপাড়ায় সহস্রাধিক লোকজনকে আনন্দভোজ করানো হয়। আয়োজন করা হয় দোআ মাহফিলের। ওই অনুষ্ঠানে এলাকাবাসী ও স্বজনরা ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন মিথীকে।
মিথীর মা তাসলিমা আক্তার লাভলী উচ্ছ¡াস প্রকাশ করে বলেন, আমার মেয়েকে কখনো পড়ার জন্য তাগাধা দিতে হয়নি। নিজ থেকেই সে পড়াশুনা করেছে। মিথীর জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
মিথীর বাবা এম এ মালেক বলেন, আমার মেয়ে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় আমি আনন্দিত। সেই আনন্দকে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীর সাথে ভাগাভাগি করতে আনন্দভোজের আয়োজন করেছি। মেয়ে ডাক্তারি পাস করে গ্রামের মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিবে এমনটা প্রতাশ্যা করেন তিনি।
ফারজানা আফরিন মিথী বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। সেজন্য সবসময় মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করেছি। আমার বাবা-মা আমাকে সবসবময় উৎসাহ দিয়েছেন। ডাক্তারি পাস করে মানবিক ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই