ঢাকা (রাত ৪:৩৫) শুক্রবার, ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

Join Bangladesh Navy


ভোলার চরফ্যাশনে নবজাতক চুরি

ভোলা জেলা ২৪৪৮ বার পঠিত
ভোলার চরফ্যাশনে নবজাতক চুরি
ভোলার চরফ্যাশনে নবজাতক চুরি

নিজস্ব প্রতিনিধি নিজস্ব প্রতিনিধি Clock রবিবার দুপুর ০১:১৮, ১ ডিসেম্বর, ২০১৯

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশনে নবজাতক চুরি অভিযোগে দুই চিকিৎসক সহ সেবা ডায়াগনস্টিক মেডিকেল সার্ভিসেস’র  ৯ কর্মকর্তাকে আসামী করে চরফ্যাশন থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে।শনিবার বিকেলে উপজেলার আবু বকরপুর সাকিনের মো. সবুজের স্ত্রী প্রসূতি কুলসুম বেগম বাদি হয়ে এজাহারটি দাখিল করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ২ কর্মচারীকে থানায় নিয়ে গেছেন।

প্রসূতি কুলসুম বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত ৭ অক্টোবর চরফ্যাশন সদরের হাসপাতাল রোডে মেঘনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা. আবদুল্লাহ আল কাফির মাধ্যমে আল্টান্সোগ্রাম পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে, তার গর্ভে দু’টি সন্তান রয়েছে এবং সন্তানরা সুস্থ্য আছে। ওই রিপোর্টে ১৮ নভেম্বরের ১৪দিন আগে বা পরে প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ উল্লেখ করা হয়।গত ২০ নভেম্বর প্রসব ব্যাথ্যা শুরু হলে তিনি চরফ্যাশন হাসপাতাল রোড সেবা ডায়াগনষ্টিক মেডিকেল সার্ভিসের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ নাইমা ইসলাম মীরার শরনাপন্ন হন। ডাঃ নাইমা ইসলাম মীরা তাকে সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার মেডিকেল সার্ভিসেস সেন্টারে ভর্তি এবং সিজারের পরামর্শ দেন।ডাঃ নাইমা ইসলাম মীরার পরামর্শ ও তত্বাবধানে ২০ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় সেবা ডায়াগনস্টিকে ভর্তি হন এবং দিবাগত রাত ২টায় কুলসুম বেগমকে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) নেয়া হয়।কুলসুম বেগম দাবী করেন, ডাঃ নাইমা ইসলাম মীরার নেতৃত্বে সিজার করে আসামীরা তার গর্ভে থেকে দু’টি বাচ্চা বের করে আনেন এবং বাচ্চা দু’টির কান্না তিনি স্পষ্ট শুনতে পান। এসময় আসামীরা একে অপরের সাথে বলাবলি করে বাচ্চা দু’টির মধ্যে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে। সিজারের সময় রোগীর স্বজনদের ওটি রুমের সামনে থাকতে না দিয়ে দ্বিতীয় তলার ৪নং কক্ষে থাকতে বাধ্য করা হয়।সিজার শেষে প্রসূতিকে ওটি থেকে তার নামে বরাদ্দকৃত দ্বিতীয় তলার ৪নং কক্ষে নেয়া হলে স্বজনরা প্রসূতিকে একটি মেয়ে সন্তান তুলে দেয়। অপর সন্তান কোথায় জানতে চাইলে স্বজনরা একটি সন্তানই তাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানায়।

পূর্বের রিপোর্ট অনুযায়ী তার গর্ভে দু’টি সন্তান ছিল এবং অপর সন্তান কোথায় এমন প্রশ্ন তোলায় সেবা ডায়াগনস্টিক মেডিকেল সার্ভিসের চিকিৎসক ও স্টাফরা তার সাথে খারাপ আচরণ করেন। ঘটনার সময় তার স্বামী সবুজ ঢাকায় ছিলেন। স্বামী ঢাকা থেকে এসে অপরাপর চিকিৎসকদের সাথে পূর্বেকার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সেবা ডায়াগনস্টিক মেডিকেল সার্ভিসের কর্তৃপক্ষের শরনাপন্ন হলে তার সাথেও অশোভন আচরণ করা হয়। ফলে শনিবার প্রসূতি বাদি হয়ে দুই চিকিৎসক সহ ৯জনকে আসামী করে চরফ্যাশন থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন।এজাহারে উল্লেখিত আসামীরা হচ্ছেন, গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ নাইমা ইসলাম মীরা, সেবা ডায়াগনস্টিক মেডিকেল সার্ভিসের মালিক মো. শাহজাহান,এ্যানেস্থেসিয়া ডা. নাহিদ, ওটি ইনচার্জ মো. রবিন, ম্যানেজার মো. মঞ্জু, নার্স সেলিনা বেগম, আয়া ফাহিমা বেগম, স্টাফ নাহার বেগম, পিয়ন মোশারফ। অভিযোগ প্রসঙ্গে ডাঃ নাইমা ইসলাম মীরা বলেছেন, রিপোর্টে দু’টি কিন্তু গর্ভে একটি সন্তানই ছিল। প্রসূতির মা ও ভাইকে ওটিতে নিয়ে একটি সন্তাান দেখিয়ে নিশ্চিত করে গর্ভ থেকে সন্তান তোলা হয়েছে।

চরফ্যাশন থানার ওসি তদন্ত কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস জানান, বাদির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসামীদের থানায় ডাকা হয়েছে। গাইনি ডাঃ মীরার সনদ সঠিক কি না তাও খতিয়ে দেখতে হবে বলে তিনি জানান।তবে সেবা ডায়াগনস্টিক মেডিকেল সার্ভিসের ওটি ইনচার্জ রবিন নিশ্চিত করেছেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পিয়ন মোশারফ এবং নার্স সেলিনাকে থানায় নিয়ে গেছেন।চরফ্যাশন থানার অফিসাপর ইনচার্জ(ওসি) শামসুল আরেফীন জানান, আটককৃতরা এজাহারভুক্ত আসামী হলে তারা ছাড়া পাবেনা।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT