ভূরুঙ্গামারীতে করোনার কারণে বন্ধ হাটবাজার, বিপাকে ইজারাদাররা
মোঃ কামরুজ্জামান রবিবার সন্ধ্যা ০৭:৪১, ৩ মে, ২০২০
মোঃ মনিরুজ্জামান, ভূরুঙ্গামারী প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে করোনা ভাইরাসের কারনে হাটবাজার বন্ধ রেখে ইজারা মূল্য পরিশোধের জন্য চাপ দেয়ায় বিপাকে পড়েছে হাটবাজার ইজারা গ্রহিতারা। জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর থেকে ছোটবড় ২০টি হাটবাজার ১৪২৭ বাংলা সনের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত এক বছরের জন্য ইজারা প্রদানের দরপত্র আহবান করা হয় এবং গত ১৮ মার্চ সর্বোচ্চ দরদাতাকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ইজারা মূল্য পরিশোধের জন্য বলা হয়। এদিকে ৭ কার্যদিবস পার না হতেই গত ২৩ মার্চ কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক করোনা ভাইরাসের কারনে (সারা দেশের ন্যায়) গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে পশুর হাটসহ সকল প্রকার হাটবাজার (কাঁচামাল, মাছ, মাংশ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ব্যাতিত) পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেন। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে গোটা জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এমতাবস্থায় গত ১২ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর থেকে অনতিবিলম্বে ইজারামূল্য পরিশোধ পূর্বক চুক্তিনামা স্বাক্ষর করে হাটবাজার ভোগদখল করার জন্য বলা হয়। ইজারা গ্রহিতাদের অভিযোগ, সরকারী নির্দেশে হাটবাজার বন্ধ অবস্থায় ইজারা মূল্য পরিশোধ করলে তারা বিরাট আর্থিক ক্ষতির সন্মুখিন হবেন। কাজেই তারা বন্ধ হাটবাজার গুলোর আর্থিক ক্ষতির ব্যাপারে সরকারী সিন্ধান্ত কামনা করেন। এব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী হাট ও বাজারের ইজারা গ্রহিতা আনোয়ারুল হক জানান, তিনি চলতি বাংলা সনের জন্য সর্বমোট ৩ কোটি ৬৮ হাজার টাকা মূল্যে ১ বছরের জন্য ইজারা গ্রহণ করেন। ভূরুঙ্গামারী হাটের ইজারা মূল্যের প্রায় ৯৫ ভাগ টাকা ওঠে পশুর হাট থেকে। পশুর হাটসহ অন্যান্য বাজার বন্ধ থাকায় সপ্তাহে (২ হাটে) ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। তিনি বলেন, ইজারার টাকা পরিশোধে তাদের কোন আপত্তি নাই। কিন্ত বন্ধ হাটের ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে দেয়া হবে সরকারের সেই সিন্ধান্ত কামনা করেন। তিনি বলেন, তা না হলে ইজারা গ্রহিতারা তাদের পুঁজি হারাবে। পাগলার হাট ও বাজারের ইজারা গ্রহিতা ছদরুল আলম এবং শাহীবাজার হাটবাজারের ইজারা গ্রহিতা সেকেন্দার ব্যাপারী এক প্রশ্নের জবাবে জানান, ইজারা মূল্য পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়ে লাভ নেই। তারা যে কয়েকটি হাট বন্ধ থাকে (এক বছরের গড় হিসাব করে) তার মূল্য বাদ দিয়ে অবশিষ্ট টাকা পরিশোধের নির্দেশনা দানের দাবী জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরুজুল ইসলাম বলেন, এব্যাপারে একটি আবেদন পাওয়া গেছে, তা জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।