বড়লেখায় জমি নিয়ে বিরোধে ব্যবসায়ী খুন
মোঃ ইবাদুর রহমান জাকির, সিলেট শুক্রবার রাত ০৯:৪১, ২৪ জুলাই, ২০২০
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় জমি ক্রয় সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদ (৩৫) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) রাতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আহাদ দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের সুজাউল (হরিনগর) গ্রামের শফিক উদ্দিনের ছেলে। আর হামলার দায়ে অভিযুক্ত মাতাব উদ্দিন চন্ডিনগর (হরিনগর) গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল আহাদ ও তার স্বজনরা উপজেলার চন্ডিনগর (হরিনগর) গ্রামের মৃত রজব আলীর পুত্র মাতাব উদ্দিন ও তার সৎ ভাইদের কাছ থেকে সম্প্রতি কিছু জমি ক্রয়ের জন্য বায়নাপত্র করেন। জমি রেজিস্ট্রির আগে নির্ধারিত মূল্যের অর্ধেকের বেশি টাকা মাতাব উদ্দিনদের দেওয়া হয়। রেজিস্ট্রি করার সময় অবশিষ্ট টাকা দেওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে জমির কাগজপত্র সংক্রান্ত জটিলতা ও করোনাভাইরাসের কারণে জমি রেজিস্ট্রি হয়নি। এ অবস্থায় প্রায় দুইমাস আগে আহাদরা জমিতে চাষ করতে গেলে মাতাব উদ্দিনরা বাধা দেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে বৈঠক হলেও তা নিষ্পত্তি হয়নি। জমি নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিচার চাওয়ায় আহাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন মাতাব উদ্দিন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে আব্দুল আহাদ স্থানীয় অফিসবাজারে অবস্থিত তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। এর কিছুক্ষণ পর মাতাব উদ্দিন আহাদের পথরোধ করে দাঁড়ান। একপর্যায়ে মাতাব উদ্দিন দা দিয়ে আহাদের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন সেখান থেকে আহাদকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টায় তিনি মারা যান।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক আজ শুক্রবার (২৪ জুলাই) বিকেলে বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়ভাবে জেনেছি। নিহতের পরিবার এখনও মামলা দেননি। অভিযুক্ত ব্যক্তি আমাদের নজরদারিতে আছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।ময়না তদন্ত শেষে ’আজ রাত ৮ঘটিকার সময় সুজাউল আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাযা শেষে সামষ্টিক কবর স্থানে দাফন করা হইবে।