ঢাকা (সকাল ৮:১৯) বুধবার, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর উদ্যোগে বারোমাসি তরমুজ চাষে সাফল্য:পরিদর্শনে উপজেলা চেয়ারম্যান

এইচএম দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা এইচএম দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা Clock সোমবার রাত ০৯:০৮, ৩ মে, ২০২১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ শহীদ তিতুমীর কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. নুরুউদ্দীন আহমেদ করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অবসর সময় পার করছিলেন। তখন দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সহায়তায় মাচা পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে করতে উৎসাহী হন এই তরুণ উদ্যোক্তা। এরপর থেকে অনাবাদি ৪ শতাংশ জমিতে মাচা পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ শুরু। অসময়ে মাচা পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে সাফল্য এসেছে তার।

সোমবার (০৩ মে ২০২১) সকালে দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মাচা পদ্ধতিতে তরমুজ চাষের পরিদর্শনে যান দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর(অব.) মোহাম্মদ আলী।

দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী বলেন, দাউদকান্দিতে প্রথমবারের মতো মাচা পদ্ধতিতে বারোমাসি তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছে। নুরু‌উদ্দীন পেশাদার কোন চাষি নন, সে ছাত্র। করোনা পরিস্থিতির কারণে তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনার বিষয়ে সরকারের নির্দেশ অনুসরণ করে তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাচা পদ্ধতিতে তরমুজ চাষাবাদ করলে বৃষ্টি-বর্ষায় ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।কম খরচে লাভবানও হওয়ার সুযোগ রয়েছে।এই তরমুজ চাষ করতে তার ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।এরই মধ্যে ৩৫০টি তরমুজ বিক্রি করার উপযোগী।ভালো দাম পেলে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবে বলে,সে আশা করেছে।’

আমি এমন তরুণ উদ্যোক্তাদের কৃষি উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণে এগিয়ে আসলে আমার সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগীতা করবো।’

উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মো. নুরুদ্দিন আহমেদ বলেন বলেন,‘করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে বাড়িতে চলে আসি।অনেকটা অবসর সময় কাটছিল। হঠাৎ একদিন ইউটিউবে দেখতে পাই, মাচা পদ্ধতিতে অসময়েও তরমুজ চাষ করা যায়। আর সময় না করে বাড়ির পাশের অনাবাদি জমিতে তরমুজ চাষের উদ্যোগ নেই।দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার স্যার ও কৃষি উৎপাদনের সকলের সার্বিক সহযোগিতায় বারোমাসি তরমুজ চাষ করতে সক্ষম হই।’

দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার জাহান জানান,নিজেদের অনাবাদি ৪ শতাংশ জমিতে বারোমাসি তরমুজ চাষের শুরু করেন তরুণ উদ্যোক্তা মো. নুরুদ্দিন আহমেদ।গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে তরমুজ চাষ প্রক্রিয়া শুরু করে।আজ সরেজমিনে এসে দেখলাম, মাচায় সবুজ লতায় মোড়ানো গাছ, এর ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে তরমুজ। প্রতিটি তরমুজ সুতার জালে মোড়ানো। একেকটি তরমুজ তিন থেকে চার কেজি ওজনের। বেশিরভাগ তরমুজ এখন বিক্রয় উপযোগী।‘




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT