ঢাকা (সকাল ৭:৩৫) শনিবার, ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম
Meghna News নেপালে আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত হলেন নড়াইলের কৃতি সন্তান সোহাগ Meghna News নড়াইল জেলা ব্লাড ব্যাংকের স্বেচ্ছাসেবী মিলনমেলা অনুষ্ঠিত Meghna News বিআরডিবি’র নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন মহিউদ্দিন তালুকদার Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে শাশুড়ী হত্যায় অভিযুক্ত টুটুল পলাতক Meghna News গৌরীপুরে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মোৎসব পালিত Meghna News সিলেট টিটিসি থেকে ২২ বছর পর বদলী : মালিক হলেন লাল লাখ টাকার! Meghna News গৌরীপুরে হুমায়ূন আহমেদের নামে ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবী ভক্তদের Meghna News সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে বালু বোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় শিশু নিহত, চালক আটক Meghna News ভোলার চরফ্যাশনে মোটরসাইকেল-নসিমন সংঘর্ষে দুই বন্ধু নিহত

বিদ্যালয়ের পাশে পুকুর পার ভেঙ্গে হুমকির মুখে স্কুল : ঝুঁকি নিয়ে পাঠ দান

নওগাঁ সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের চককালিদাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের পুকুর পাড় ভেঙ্গে হুমকির মুখে স্কুল, ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান।
নওগাঁ সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের চককালিদাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের পুকুর পাড় ভেঙ্গে হুমকির মুখে স্কুল, ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান।

নিজস্ব প্রতিনিধি নিজস্ব প্রতিনিধি Clock মঙ্গলবার রাত ১১:১০, ৮ অক্টোবর, ২০১৯

নওগাঁয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পুকুর পার ভেঙ্গে হুমকির মুখে স্কুল : ঝুঁকি নিয়ে পাঠ দান, অনিশ্চয়তার মুখে ৯০ শিক্ষার্থীর পড়ালেখা

এম এ ইউসুফ, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের চককালিদাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে স্থাপিত হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৯০জন। স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা ধরনের সমস্যার মধ্যেও সফলতার সাথে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে।

আশপাশের গ্রাম থেকে এখানে পড়াশুনা করতে আসেন কমলমতি শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কিছু দিন পূর্বে বিদ্যালয়ের পাশের পুকুর পারের তালগাছ ভেঙ্গে পরে যাওয়ার কারনে বিদ্যালয়েরর অংশে ভাঙ্গন ধরে যায়। যার কারনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় দূর্ঘটনা।

গত কয়েকদিন পূর্বে মিতু নামের একজন তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ওই ভাঙ্গা স্থানে পরে গিয়ে মারাত্বক ভাবে জগম হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার সময় বল পুকুরে পরে গেলে নানা রকম নির্যাতন ও হুমকি ধামকি প্রদানের অভিযোগ পুকুর মালিক মো.শহিদুল দপ্তরীর বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ের চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল নেই এবং নিদির্ষ্ট খেলার মাঠ না থাকার কারনে বারান্দায় খেলা ধুলা করে শিক্ষার্থীরা।

যার কারনে মাঝে মধ্যেই খেলার সামগ্রীগুলো পুকুরে পরে যায়। একারনে ঘটতে পারো বড় দুর্ঘটনার। তাছাড়া পুকুরে শিক্ষার্থীদের ব্যবহত কিছু পরলে পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে নানাভাবে হুমকি ধামকি প্রদানসহ শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। প্রভাবশালী হওয়ার কারনে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেও কোন সুরাহা মিলেনি। উল্টো নানাভাবে শিক্ষক ও অভিভাবকদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।

চককালিদাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মিম খাতুন বলেন, আমাদের খেলার মাঠ নেই তাই আমরা বারান্দায় খেলি অনেক সময় পুকুরে খেলনা পরে গেলে সেটা আনতে একদিন আমাদের এক বান্ধবী পুকুরের পানিতে ডুবে গিয়েছিল। পরে স্যারেরা তাকে উদ্ধার করে। মাঠ না থাকলে আমরা খেলবো কোথায়।
তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন বলেন, আমাদের স্কুলের চাপাশে দেয়াল নাই খেলার মাঠও নাই সেজন্য আমরা বারান্দায় সময় পেলে খেলা-ধুলা করি অনেক সময় বল পুকুরে গেলে পুকুরের মালিক ও তার ছেলে আমাদের অনেক বকা দেয়। তাছাড়া আমরা সাঁতার জানিনা ভয় লাগে যদি হঠ্যাৎ খেলতে খেলতে পানিতে পরে যাই। তাই মন চাইলে সে ভাবে খেলতে পারিনা।

স্থানীয় অভিভাবক ইমরান হোসেন জানান, বিদ্যালয়টি অনেক পুরোনো কিন্তু সে অনুয়ায়ি সার্বিক উন্নতি হয়নি। দূর দুরান্ত এখানে অনেক কোমলমতি শিশুরা পড়তে আসে। স্কুলটির নেই সিমানা প্রাচীর নেই কোন খেলার মাঠ এভাবে পাঠদান সম্ভব নয়। পাশে পুকুর যেকোন সময় শিশুরে পানিতে পরে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পারভীন বানু নামে অন্য এক অভিভাবক বলেন, এ স্কুলটি আমাদের সন্তানদের জন্য নিরাপদ নয় পাশেই পুকুর কদিন আগেই দেখলাম পুকুর পার ভেঙ্গে গেছে। নেই স্কুল এর দেয়াল নেই, খেলার মাঠ। যেটুকু সময় বারান্দায় খেলে তাও আবার কিছু পুকুরে পরলে পুকুরের মালিকরা মারধর করে সন্তানদের । এত সমস্যা হলে কিভাবে স্কুলে পাঠাবো বলেন।

চককালিদাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরজিনা বেগম বলেন, পুকুর পারের তালের গাছ পরে বিদ্যালয়ের এক অংশ ভাঙ্গন ধরার কারনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করাতে হচ্ছে। এ কারনে অনেক অবিভাবক শিশুদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন। পুকুর মালিকদের অনেক বার অনুরোধ করেছি যদি একটু সংস্কারের উদ্যোগ নিতো তাহলে আমরা সাধ্যমত এগিয়ে আসতাম তারা কোন সহযোগিতা করেনি । বিদ্যালয়ের নিজ¯^ ফান্ড না থাকার কারনে সংস্কার কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই জেলা অফিস বরাবর লিখিত দরখাস্ত করেছি এখন দেখা কি হয়।

বিদ্যালয়টির সমস্যার কথা স্বীকার করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম মন্ডল জানান, এবিষয়ে একটি লিখিত দরখাস্ত পেয়েছি। বর্তমানে সংস্কারের জন্য কোন প্রকল্প নেই তবে প্রকল্প বরাদ্দ পেলে প্রযোজনীয় উদ্যোগ অবশ্যই নেয়া হবে।

অন্যদিকে বিদ্যালয়ের পাশের পুকুরের মালিক শহিদুল দপ্তরীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের দাবি অচিরেই এসব সমস্যা সমাধান না করা হলে অভিভাবকরা সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানো বন্ধ করে দিবেন ভেঙ্গে পরবে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT