পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মুবারক র্যালি
নিজস্ব প্রতিনিধি রবিবার রাত ১১:৪২, ১০ নভেম্বর, ২০১৯
মোঃ ইবাদুর রহমান জাকির, সিলেট থেকেঃ পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে শনিবার পুণ্যভূমি সিলেট নগরীতে হাজার হাজার মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মুবারক র্যালি’। বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ ‘মুবারক র্যালি’তে অংশ গ্রহণের জন্য প্রতিকুল আবহাওয়া উপেক্ষা করে সকাল থেকেই সোবহানীঘাটস্থ হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ্ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসা ময়দানে সিলেট বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা জমায়েত হন।সকাল ১০টা থেকে যুহরের পূর্ব পর্যন্ত প্রিয়নবী (সা.)-এর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী ও অতিথিবৃন্দ। বাদ যুহর শুরু হয় র্যালি। প্রিয়নবীর শানে রচিত কালজয়ী নানা কবিতার শ্লোক অঙ্কিত রঙবেরঙের ফেস্টুন ও প্লেকার্ড র্যালিতে শোভাবর্ধন করে। আশিকে রাসূল ছাত্র-জনতার সুরে সুরে ধ্বনিত হয় প্রিয়নবীর প্রশংসাগীতি। সালাম সালাম নবী সালাম সালাম, মাওলা ইয়া সাল্লি ওয়া সাল্লিম, বালাগাল উলা-বি কামালিহি, শামছুদ্দুহা আস্সালাম, … এ রকম অগণিত নাত-এর সুমধুর সুর লহরি নগরীর আকাশ বাতাস মুখরিত করে।ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) র্যালি বাস্তবায়ন কমিটি সিলেট এর উদ্যোগে আয়োজিত এ র্যালীতে নেতৃত্ব দেন শামসুল উলামা হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)’র সুযোগ্য ছাহেবজাদা অধ্যক্ষ মাওলানা কমরুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, আনজুমানে আল ইসলাহর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম মনোওর আলী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি এডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, আনজুমানে আল ইসলাহর সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা ছরওয়ারে জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি আখতার হোসাইন জাহেদ, সহ সভাপতি দুলাল আহমদ, মুহাম্মদ মুহিবুর রহমান, মাছুম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূনুর রহমান লেখন ও সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্যকল্যাণ পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মকন মিয়া প্রমুখ।র্যালি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মোজতবা হাসান চৌধুরী নোমান’র সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জাহেদুর রহমান ও সিলেট পশ্চিম জেলা সভাপতি শেখ আলী হায়দার এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত র্যালি পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মাওলানা কমরুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী। প্রধান বক্তা ছিলেন তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি আখতার হোসাইন জাহেদ। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন আনজুমানে আল ইসলাহর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম মনোওর আলী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি এডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, আনজুমানে আল ইসলাহর সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাহফিলে মিলাদুন্নবী (সা.) বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মো. নুমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং মাহফিলে মীলাদুন্নবী (সা.) বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, পাঠাগার সম্পাদক হাফিয মাওলানা নজীর আহমদ হেলাল, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা বেলাল আহমদ, তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলান মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, মাওলানা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী, সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা হাসান চৌধুরী গিলমান, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দুলাল আহমদ, মুহাম্মদ মুহিবুর রহমান, মাছুম আহমদ, সহ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ উসমান গণি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালীউর রহমান সানী ।র্যালি বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আহমদ আল জামিল এর স্বাগতম বক্তব্যের মাধ্যমে সূচিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বমানবতার এক ক্রান্তিলগ্নে দুনিয়ার বুকে তাশরীফ এনেছিলেন। তখন মানুষে মানুষে ছিল হানাহানি। চারিদিকে ছিল অসত্য আর অন্যায়ের জয়জয়কার। দুঃশাসনের যাতাকলে নিষ্পেষিত ছিল মানব সমাজ। বিশেষ করে নারীরা ছিল সকল দিক থেকে নির্যাতিত-নিপীড়িত। মানুষ হিসেবে তাদের কোনো মূল্য ছিল না। কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়া হতো। মযলুমের স্ফুট-অ¯ফুট চিৎকারে ভারী হয়ে গিয়েছিল দুনিয়ার আকাশ বাতাস। তখন মানুষকে প্রকৃত মানবিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে দুনিয়ার বুকে তাশরীফ এনেছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি ছিলেন বিশ্বমানবতার জন্য আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ করুণা ও অনুগ্রহ। তিনি সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় তথা সার্বিক দিক থেকে অধঃপতনের চরম সীমায় নিমজ্জিত সমাজকে খোদায়ী নির্দেশনার আলোকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছিলেন।