নওগাঁ-৬ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহন কাল
আবু ইউসুফ,নওগাঁ শুক্রবার বেলা ১২:৩৫, ১৬ অক্টোবর, ২০২০
নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসনে জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল (শনিবার) ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এই প্রথম আসনটিতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) রাণীনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জায়দা খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জেলার রাণীনগর এবং আত্রাই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬, সংসদীয় আসন। এই দুই উপজেলায় মোট ১৬টি ইউনিয়ন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এই দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে তিন লাখ ছয় হাজার ৭২৫ জন। এর মধ্যে রাণীনগর উপজেলায় এক লাথ ৪৯ হাজার ৫৮৭জন এবং আত্রাই উপজেলায় ভোটার রয়েছে এক লাখ ৫৭ হাজার ১৩৮ জন। এই দুই উপজেলায় মোট পুরুষ ভোটার রয়েছে এক লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৮ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৫২ হাজার ৯৬৭ জন।
উপ-নির্বাচনে আত্রাই উপজেলায় ৫৫টি এবং রাণীনগর উপজেলায় ৪৯টিসহ মোট ১০৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। দুই উপজেলায় ১০৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৭২১ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং এক হাজার ৪৪২ জন পোলিং অফিসার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ভোটকেন্দ্র ও ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং আনছার বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি ইউনিয়নে এক জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই এই আসনের এমপি ইসরাফিল আলম মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। পরে নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণা করে তফশীল ঘোষণা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল শনিবার (১৭ অক্টোবর) ইভিএমএ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আসনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী রাণীনগর উপজেলা পরিষদের (সাবেক) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন হেলাল নৌকা প্রতীক, বিএনপি মনোনিত প্রার্থী আত্রাই উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শেখ রেজাউল ইসলাম রেজু ধানের শীষ প্রতীক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনিত প্রার্থী ইন্তেখাব আলম রুবেল আম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আত্রাই উপজেলানির্বাচন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসনে উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্র ও ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং আনছার বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি ইউনিয়নে এক জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা আশা করছি ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।