ধর্মপাশায় মৎস্য সমিতির সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
মোঃ কামরুজ্জামান মঙ্গলবার রাত ০৯:৪৭, ২১ জুলাই, ২০২০
মোবারক হোসাইন, ধর্মপাশা সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সৈয়দপুর একতা সৎসজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান ও কোষাধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান এর বিরুদ্ধে গত ২০-০৭-২০২০ খ্রিঃ তারিখে সমিতির সাধারণ সম্পাদক খায়রু ইসলাম সহ সদস্যগন অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগ করে, ধর্মপাশা উপজেলা সমবায় অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে যা উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্য থেকে কিছু অংশ নিম্নে তুলে ধরা হয়েছে। সৈয়দপুর একতা মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিঃরেজিঃ নং ০৬৮/১৯ (সুনাম) তারিখ ২৪-১০-২০১৯ খ্রিঃ এর সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান ও কোষাদক্ষ রোকনুজ্জামান সমিতির কার্যক্রম সঠিক ভাবে পালন না করা এবং জলমহাল লীজ বাবত ২৫০০০০/ দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা সদস্যদের কাছে চাঁদা দাবি করে সদস্যদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় সংগঠনের স্বার্থে তাদের পদে থেকে অব্যাহতিসহ সদস্য পদে থেকে বাতিলের অনাস্থা জ্ঞাপন করেন। তাঁরা বলেন আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারী অনাস্থা জ্ঞাপনকারীবৃন্দ সৈয়দপুর একতা মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিঃ রেজি নং ০৬৮/১৯( সুনাম) সৈয়দপুর ধর্মপাশা সুনামগঞ্জ এর সদস্য সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ২৬ জন। উক্ত সমিতির সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান পিতা- মৃত সোলেমান, কোষাধ্যক্ষ মোঃ রোকনুজ্জামান পিতা -মৃত সোলেমান উল্লেখ্য উনারা সহোদর ভাই, সমিতির শুরু থেকেই উনারা সমিতির কার্যক্রম সম্পর্কে উদাসীন। উপআইন না মেনে নিজেদের ইচ্ছে মত সভা করেন। সমিতির নির্ধারিত জায়গায় সভা না করে কয়েকজন কে জানিয়ে কখনও বা না জানিয়ে সভা করে টিপসই নেয় এবং পরবর্তীতে রেজুলেশন বানিয়ে নেয়, সদস্যরা যেহেতু বেশিরভাগ সদস্যই অক্ষরজ্ঞানহীন মাঝে মাঝে ভুল তথ্য বলেও স্বাক্ষর নেয়। সমিতির কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদকেও কোন কিছু জানানো হতনা সদস্যদের চাপে সাধারণ সম্পাদক সমিতির কাগজপত্র বিভিন্ন রেজিস্ট্রার জমা খরছের হিসাব বারবার জানতে চাইলেও উনারা বিভিন্ন ভাবে ধামাচাপা দিয়ে আজ পর্যন্ত সমিতির কোন রেজিস্ট্রার সদস্যবৃন্দকে বোঝানো বা দেখাতে ইচ্ছুক নয়। প্রকৃত পক্ষে উনারা পদের ক্ষমতা অপব্যবহার করে সংগঠনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে সংগঠনকে বিলুপ্তির রেখায় টানতে চাইছেন। সম্প্রতি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০১৯ এর অনুসারে উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি কতৃক ১৪২৭-১৪২৯ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত তিন বছরের জন্য উক্ত সমিতিকে হিংরা জলমহালটি ইজারা প্রদান করা হয়। লীজ পাওয়ার জন্য উনারা জনপ্রতি=১০০০০ (দেশ হাজার ) টাকা করে মোট =২৫০০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা চাঁদা দাবী করে এবং আমরাও প্রতিজন ১০০০০(দশ হাজার) টাকা করে দেই।পরে জানতে পারলাম জলমহালটি বাৎসরিক ইজারামূল্য ১৩৫০০/- (তের হাজার পাঁচশত)টাকা উনাদের চাওয়া। ২৫০০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা অযুক্তিক ও দুর্নীতিলগ্ন। যার হিসাব দিতে তারা নারাজ। এমন দুর্ণীতিপরায়ন লোকদের দিয়ে সমিতির কার্যক্রম চালালে সংগঠনের বিলুপ্তির রেখা অচিরেই শেষ হয়ে যাবে। উনারাদের সাংগঠনিক কর্মদক্ষতা এতটাই দুর্বল যে মাঝে মাঝে উনাদের বড় ভাইকে দিয়ে মিটিং উপস্থাপন করান ও পরে টিকসই রেখে পরবর্তীতে রেজুলেশন করেন। উনাদের বড় ভাই সমিতির কোন সদস্যও না। মাঝে মাঝে খালি কাগজেও বিভিন্ন মিথ্যা বলে স্বাক্ষর বা টিপসই নিয়েছেন। অভিযোগে আরও বলেন যাতে বড় ধরণের কোন সংঘর্ষ না ঘটে তারই প্রেক্ষিতে লিখিত অভিযোগ সরেজমিনে পরিদর্শন করে উক্ত সংগঠনকে বিলপ্তি ও অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে বাঁচান। ইতিমধ্যে উনাদের সাথে কথা কাটাকাটির মত টুকটাক ঘটনা ঘটে গেছে। সংগঠন নিয়ে আমরা বড় দুঃচিন্তাই আছি। কোন সদস্যই উনাদের কার্যকলাপে সন্তষ্ট নয়। সংগঠনের কার্যকলাপ সঠিকভাবে পরিচালনা না করার জন্য এবং টাকার বিনিময়ে জলমহাল লীজ পাওয়ার কথা বলে যে দুর্নীতিমূলক, মিথ্যাচার ও প্রতারণামূলক কাজ উনারা করেছেন। তারই প্রেক্ষিতে উনাদের নিজ নিজ পদ থেকে অব্যহতি ও অধিকাংশ সদস্যদের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে বিরুপ মন্তব্য থাকায় সদস্যপদ থেকেও বাতিলের জন্য নিম্নে স্বাক্ষরকারী সদস্যবৃন্দ তাদের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে অভিযুক্তদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেন। স্বাক্ষরকারী সদস্যদের নাম মোঃ খাইরুল,আব্দুল হালিম, সেলিম মিয়া, জামাল মিয়া, দুলাল মিয়া, সাহার উদ্দিন, শামসুল হক, হারিছ উদ্দিন, জামাল মিয়া, মতিউল হক, মজিদুল হক, সাইকুল, আজম আলী, আবদুল মুতালিব, মোঃ সেকুল মিয়া, মোঃ কবির, মোঃ সিদ্দিক মিয়া, নাজিল হক, দরবেশ মিয়া, নূর কাইয়ুম, মোঃ আঙ্গুর মিয়া,আজম আলী। সৈয়দপুর একতা মৎসজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলু মিথ্যা বানোয়াট। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আবুল কালাম ফরাজী বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।