ধর্মপাশায় বাল্য বিবাহ রোধে আয়োজিত উঠান বৈঠকে গ্রামের কয়েকজন যুবকের বাধা
মোঃ কামরুজ্জামান শুক্রবার ১২:২২, ১৯ জুন, ২০২০
মোবারক হোসাইন, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের আবুয়ারচর গ্রামে বেসরকারি সংস্থা ডিএসকের হ্যালো আইএম প্রকল্পের উদ্যোগে বাল্য বিবাহ রোধ, অল্প বয়সে গর্ভধারণ ও বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে আনার লক্ষে আয়োজিত একটি উঠান বৈঠক স্থানীয় কয়েকজন যুবক পণ্ড করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বেসরকারি সংস্থা ডিএসকের হ্যালো আইএম প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা জুয়েল রানা বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ইউএনওর কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭সাল থেকে এ উপজেলায় বেসকারি সংস্থা ডিএসকের হ্যালো আইএম প্রকল্পটি বাল্য বিবাহ রোধ,অল্প বয়সে গর্ভধারণ ও বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া হার কমিয়ে আনাসহ নানাবিদ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নেরর আবুয়ারচর গ্রামের আবদুল কদ্দুসের বাড়িতে স্থানীয় ২৬জন বাবা -মাকে নিয়ে বেসরকারি সংস্থা ডিএসকের হ্যালো আই এম প্রকল্পের উদ্যোগে এক উঠান বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠক চলাকালীন সময়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের খয়েদিরচর গ্রামের বাসিন্দা মনির হোসেন (২৫)আরও তিন চারজনকে নিয়ে এই উঠান বৈঠকে গিয়ে উপস্থিত হন। এক পর্যায়ে উঠান বৈঠকটি পণ্ড হয়ে যায়। এর আগে গত ০১জুন উপজেলার খয়েরদিরচর গ্রামে বাল্য বিবাহ রোধে কিশোর কিশোরীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে বাধা দেন খয়েরদিরচর গ্রামের বাসিন্দা শিপা আক্তার (২৫) নামের এক নারী। তিনি স্থানীয় একটি মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। বেসরকারি সংস্থা ডিএসকের হ্যালো আইএম প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা জুয়েল রানা বলেন, বাল্য বিবাহ রোধ,অল্প বয়সে গর্ভধারণ ও বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে এ উপজেলায় ২০১৭সাল থেকে হ্যালো আই এম প্রকল্পটি কাজ করে আসছে । একই গ্রামের বাসিন্দা মনির হোসেন (২৫)বলেন, আমরা ওই এনজিওর সভাকে পণ্ড করিনি। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অনৈসলামিক কার্যক্রম চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাল্য বিবাহ রোধের নামে যাতে অনৈসলামিক কিছু না ঘটে সেজন্য বৈঠকে আমরা কিছু কথা বলেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মুনতাসির হাসান বলেন, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।