ধর্মপাশায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা,সুনামগঞ্জ বুধবার রাত ০৯:০৯, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের নৈশপ্রহরী; সুব্রত কুমার সরকারের বিরুদ্ধে হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধের কাজের ১৩৯ নং পিআইসির সভাপতির কাছ থেকে; ধর্মপাশার ইউএনও অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধর্মপাশা অফিস খরচের কথা বলে; ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার বিকালে নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার জমশেরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলার ঘোড়াডোবা হাওরের ১৩৯ নং পিআইসির সভাপতি পলাশ চন্দ্র সরকার ধর্মপাশার ইউএনওর কাছে; এ নিয়ে সুবিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ইউএনওর কাছে দেওয়া ওই পিআইসির সভাপতির লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনা মেনে নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়নের জমশেরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা ঘোড়াডোবা হাওরের ১৩৯ নং পিআইসির সভাপতি পলাশ চন্দ্র সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাঁধের প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজটি সম্পন্ন করেন। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ধর্মপাশা শাখায় কর্মরত নৈশপ্রহরী সুব্রত কুমার সরকারেরও বাড়ি মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর বাজারে। একই ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ায় তারা দুজনই পূর্ব পরিচিত।
পাউবোর যাবতীয় নীতিমালা মেনে পিআইসির সভাপতি পলাশ চন্দ্র সরকার ১৩৯ নং প্রকল্প কাজটি পান। এই কাজে তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন সুব্রত কুমার সরকার। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে এই প্রকল্প কাজটি শুরু করার সময় ওই নৈশপ্রহরী ধর্মপাশার ইউএনও অফিস ও ধর্মপাশা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস খরচের কথা বলে ওই পিআইসির সভাপতির কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন ওই নৈশপ্রহরী।
চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি পিআইসির সভাপতি পলাশ চন্দ্র সরকারের ছোট ভাই প্রবীর সরকার এ বাবদ সুব্রতকে এক লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। ওই চেকটির টাকা ধর্মপাশা সোনালী ব্যাংক লিমিটেড শাখা থেকে ওই দিনই উত্তোলন করেন নৈশপ্রহরী। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে আরও ৯০ হাজার টাকা অফিস খরচ বাবদ দাবি করেন নৈশপ্রহরী।
পরে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি নগদ ৯০ হাজার টাকা ওই নৈশপ্রহরীর হাতে তুলে দেন পিআইসির সভাপতি পলাশ। গত ২০ আগস্ট আরও এক লাখ টাকা নৈশপ্রহরী দাবি করলে বিষয়টি ওই পিআইসি সভাপতির সন্দেহ হয়।
তিনি ওই দুটি অফিসে ২৫ আগস্ট সরোজমিনে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন যে, পিআইসি বাবদ এক টাকাও অফিস খরচ লাগেনি। অফিসের নাম ব্যবহার করে পুরো টাকাটাই তিনি আত্মসাত করেছেন।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ধর্মপাশা শাখা অফিসের নৈশ প্রহরী সুব্রত কুমার সরকার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি সঠিক নয়। এসব মিথ্যা ও বানোয়াট।
ধর্মপাশার ইউএনও মো.মুনতাসির হাসান বলেন, অভিযোগটির সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।