দেশে ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত ১০৩৪, মৃত্যু ১১
মেঘনা নিউজ ডেস্ক সোমবার বিকেল ০৪:২৬, ১১ মে, ২০২০
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৩৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৩৯ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৬৯১ জন।
আজ সোমবার (১১ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের পাঁচজন পুরুষ এবং ছয়জন নারী। মৃত্যুবরণকারীদের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে চারজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন। মৃতদের ঢাকা বিভাগেরই আটজন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের দুইজন এবং রংপুর বিভাগের একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২৩৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ২৫২ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৯০২ জন।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সাত হাজার ২৬৭টি। আর পরীক্ষা করা হয়েছে সাত হাজার ২০৮টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে এক হাজার ৩৪ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৬৯১ জন। শনাক্তের তালিকায় এখনো ঢাকা সিটিসহ ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ৮৬৫টি।
জানানো হয়, করোনা সন্দেহে নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ, নোয়াখালী। এর আগে গতকাল যুক্ত হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ। ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ১৮৩ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬২ জন। বর্তমানে আইসোলেনশনে আছেন দুই হাজার ২৩৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ১৭৬ জন। সারা দেশে আইসোলেশন শয্যা সংখ্যা আট হাজার ৬৩৪টি। ঢাকা মহানগরীতে দুই হাজার ৯০০টি এবং ঢাকা সিটির বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে আছে পাঁচ হাজার ৭৩৪টি।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন দুই হাজার ৩৬০ জন। একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৪৩৯ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট দুই লাখ ১২ হাজার ৯৮৩ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক লাখ ৭৬ হাজার ৬৪০ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৬ হাজার ৩৪৩ জন।
সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩০ হাজার ৯৫৫ জনকে সেবা প্রদান যাবে বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৩৫ হাজার ৪৯৫টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে ৪৭ লাখ ৯৩ হাজার ৫১২ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো ছয়জন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৭০৭ জনে। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ৬৮ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে বুলেটিনে।