সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী বিএনপির অঙ্গসংগঠনের আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। এসকল কমিটিতে বিভিন্ন বিতর্কিত এবং আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে নানা সুযোগ সুবিধা নেওয়া ব্যাক্তিদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেসকল কমিটি নিয়ে বিএনপির তৃনমূলে প্রচন্ডরকম হতাশা ক্ষোভ ও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

বিভিন্ন অভিযোগে ভিত্তিতে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে স্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এসকল অভিযুক্ত বিতর্কিত ব্যাক্তিদের অব্যহোতি ও বহিস্কারারের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিতর্কিত সাহাবুল আলম দুলালকে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক এর পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের সাথে কথা হলে তারা সকলেই এক বাক্যে হাইকমান্ডের এমন সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন “এমন বিতর্কিত ব্যাক্তিকে নানা সুবিধার বিনিময়ে পদ পদবী পাইয়ে দেওয়া নেতারা তাকে পদে বহাল রাখতে যথেষ্ট দোড়ঝাপ তদবির চালিয়েছে। কিন্তু দলীয় হাইকমান্ডের সঠিক সিদ্ধান্তে তাদের অপচেষ্টা ব্যার্থ হয়েছে।  তারা আরও বলেন, এধরনের ব্যাক্তির পদায়নে তৃনমূলের নিবেদিত প্রান কর্মীরা পদবঞ্চিত হচ্ছে। ফলে দলের জন্য যারা নিবেদিত এবং বিভিন্ন  সময় মামলা হামলা ও নির্যাতিত কর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে যাচ্ছিল। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তৃনমুল নেতা কর্মীদের পক্ষ থেকে দলীয় হাইকমান্ডকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি দলের প্রতি তাদের আস্থা বিশ্বাস দৃড় হয়েছে। এছাড়াও দায়িত্ববোধ বহুগুন বেড়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তারা।

এসময় সবাই একবাক্যে বলেন “হাইকমান্ডের এমন সিদ্ধান্তে সমগ্র দেশের এই সকল বিতর্কিত সরকারি আঁতাতের মাধ্যমে সুবিধা নেওয়া লোক গুলোর যে বিএনপিতে কোন স্থান নেই এটা প্রতিফলিত হয়েছে।

বিএনপিতে কোন বিতর্তিক লোকের জায়গা নেই এটাই এখন প্রমাণিত সত্য। বিএনপি করতে হলে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান এবং তার দল বিএনপি’র প্রতি শতভাগ আনুগত্য এবং ভালবাসা থাকতে হবে।

দল এখন দুষ্টের দমন, শীষ্টের পালন নিতীতে অগ্রসর হবে ইনশাল্লাহ্। আওয়ামীলীগের দালালদের আর এই দলে জায়গা নেই।