দারুণ বোলিংয়ে বড় জয়
মেঘনা নিউজ ডেস্ক মঙ্গলবার সকাল ১০:১৯, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৮
দারুণ বোলিংয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা তৃতীয় জয় পেল বাংলাদেশ। তৃতীয়বারের মতো পেল বোনাস পয়েন্ট। জিম্বাবুয়ে ইনিংসে নেই কোনো ফিফটি। নেই কোনো পঞ্চাশ রানের জুটি।
শুরুতে দুটি করে উইকেট নিয়ে অতিথিদের কাঁপিয়ে দেন সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। উইকেট শিকারে পরে যোগ দেন সানজামুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন।
৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার সাকিব। দুটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজ, সানজামুল ও মাশরাফি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ৩৬.৩ ওভারে ১২৫ (মাসাকাদজা ৫, মিরে ৭, আরভিন ১১, টেইলর ০, রাজা ৩৯, মুর ১৪, ওয়ালার ০, ক্রিমার ২৩, জার্ভিস ১০, চাতারা ৮, মুজারাবানি ০*; সাকিব ৩/৩৪, মাশরাফি ২/২৯, সানজামুল ২/২৮, মুস্তাফিজ ১/১৬, রুবেল ১/১৮)
১২৫ রানে গুটিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে
জিম্বাবুয়েকে ১২৫ রানে থামিয়ে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। কাইল জার্ভিসকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট পেলেন এই বাঁহাতি পেসার।
৩৬.৩ ওভারে গুটিয়ে গেল অতিথিরা। ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা তৃতীয় জয় পেল বাংলাদেশ।
মুস্তাফিজের মাথার ওপর দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন জার্ভিস। টাইমিং হয়নি। মিড অফে সহজ ক্যাচ ধরেন মাহমুদউল্লাহ।
সাকিবের তিন উইকেট
ব্যাটে-বলে আবারও উজ্জ্বল সাকিব আল হাসান। ফিফটি করা এই অলরাউন্ডার পেলেন নিজের তৃতীয় উইকেট। দলকে নিয়ে গেলেন জয়ের আরও কাছে।
সাকিবকে উড়াতে চেয়েছিলেন তেন্দাই চাতারা। খানিকটা দৌড়ে দুই হাতে বল হাতে জমান সাব্বির রহমান। তার তৃতীয় ক্যাচ।
৮ রান করে চাতারা ফিরে যাওয়ার সময় জিম্বাবুয়ের স্কোর ১১৮/৯।
রাজাকে ফেরালেন মুস্তাফিজ
প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে মোটে ১ রান দেওয়া মুস্তাফিজুর রহমান দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই পেয়েছেন সিকান্দার রাজার উইকেট।
মুস্তাফিজের অফ কাটারে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন রাজা। বলের ওপরে যেতে পারেননি। শটও ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে ফিরে যান বোল্ড হয়ে।
৫৯ বলে ৩৯ রান করে রাজার বিদায়ের সময় জিম্বাবুয়ের স্কোর ১০৭/৮।
জিম্বাবুয়ের একশ
নিয়মিত উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ের স্কোর তিন অঙ্কে গেছে ৩২তম ওভারে। একশ রান করতে ১৮৮ বল খেলেছে অতিথিরা।
আঁটসাঁট বোলিংয়ে আরেকটি বোনাস পয়েন্ট পাওয়ার পথ বাংলাদেশ। টানা তৃতীয় বোনাস পয়েন্ট পেতে জিম্বাবুয়েকে ১৭২ রানের ভেতরে থামাতে হবে স্বাগতিকদের।
৩২ ওভারে ৭ উইকেটে ১০১ রান করা জিম্বাবুয়ের জন্য ততদূর যাওয়াও এখন অনেক দূরের পথ। সিকান্দার রাজা খেলছেন ৩৩ রানে। কাইল জার্ভিস এখনও রানের খাতা খুলেননি।
রুবেলের শিকার ক্রিমার
দ্রুত রান তোলা গ্রায়েম ক্রিমারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন রুবেল হোসেন। এই পেসারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক।
রুবেলের মিডল স্টাম্পের বল ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন ক্রিমার। স্কিড করা বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। ৩১ বলে ২৩ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক।
৩০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৯৫/৭। সিকান্দার রাজার সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন কাইল জার্ভিস। জয়ের জন্য ২০ ওভারে আরও ১২২ রান চাই জিম্বাবুয়ের।
সানজামুলের জোড়া আঘাত
টানা দুই বলে উইকেট নিলেন সানজামুল ইসলাম। পিটার মুরের পর ফিরিয়ে দিলেন ম্যালকম ওয়ালারকে।
মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে প্যাডেল সুইপ করতে চেয়েছিলেন ওয়ালার। বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। আম্পায়ার আউট দিলে নেন রিভিউ। তাতে পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত। গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পেলেন ওয়ালার। জয়ের পথ আরও বেশি কঠিন হয়ে গেল তার বিদায়ে।
২৩ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৬৮/৬। সিকান্দার রাজার সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন গ্রায়েম ক্রিমার। জয়ের জন্য ২৭ ওভারে আরও ১৪৯ রান চাই অতিথিদের।
জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধ ভাঙলেন সানজামুল
টানা আঁটসাঁট বোলিংয়ের পুরস্কার পেল বাংলাদেশ। ভাঙল জিম্বাবুয়ের পঞ্চম উইকেট জুটির প্রতিরোধ।
সানজামুল ইসলামের সোজা বল পা বাড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন পিটার মুর। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে প্যাডে। নন স্ট্রাইকার সিকান্দার রাজার সঙ্গে কথা বলে রিভিউ না নিয়ে ফিরে যান মুর।
৪২ বলে ১৪ রান করে মুর ফিরে যাওয়ার সময় জিম্বাবুয়ের স্কোর ৬৮/৫।
মুস্তাফিজের টানা তিন মেডেন
সিকান্দার রাজার জন্য দুর্বোধ্য মুস্তাফিজুর রহমান। ছন্দে থাকা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে টানা তিনটি ওভার মেডেন নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার।
প্রথম দুই ওভারে মুস্তাফিজকে খেলার খুব একটা চেষ্টা দেখা যায়নি রাজার মধ্যে। তৃতীয় ওভারে খেলার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু গ্যাপ বের করতে পারেননি।
মাশরাফির দ্বিতীয় শিকার আরভিন
আগের তিন ইনিংস মিলিয়ে চার করা ক্রেইগ আরভিন ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিলেন পাল্টা আক্রমণ। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।অফ স্টাম্পে পড়ে বল বেরিয়ে যাচ্ছিল। জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন আরভিন। বল ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় স্লিপে। ঝাঁপিয়ে দুই হাতে মুঠোয় নেন সাব্বির রহমান।
১১ রান করে ফিরেন আরভিন। ১০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৩৯/৪। সিকান্দার রাজা ৪ ও পিটার মুর ৫ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য আরও ১৭৮ রান চাই অতিথিদের।
টেইলরকে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ দিলেন সাকিব
উইকেটের পেছনে দিনটা দারুণ কেটেছে ব্রেন্ডন টেইলরের। সামনে কাটল একেবারেই বাজে। আউট হয়েছেন মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে।
মিরেকে শর্ট বলে ফেরানো সাকিব আল হাসান টেইলরকে বিদায় করেন ফুল লেংথ বলে। এগিয়ে খেলার বদলে টেইলর খেলেন পিছিয়ে। বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি, ফিরে যান এলবিডব্লিউ হয়ে।
৭ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ২০/৩। ক্রিজে ক্রেইগ আরভিনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সিকান্দার রাজা। জয়ের জন্য অতিথিদের চাই আরও ১৯৭ রান।
মিরেকে ফেরালেন সাকিব
লেংথ যা ছিল তাতে সাকিব আল হাসানের বলটা মারার মতোই ছিল। সর্বশক্তি দিয়ে হাঁকিয়ে ছিলেন সলোমন মিরে। কিন্তু বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। ফিরে যান বোল্ড হয়ে।সাকিব শর্ট বলটা গতি অনেক কমিয়ে মিডল স্টাম্পে রেখেছিলেন। সাকিবের চাতুরি বুঝতে পারেননি মিরে। শট খেলে ফেলেন একটু আগেই। এলোমেলো করে দেয় স্টাম্প। দ্বিতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
মাশরাফির দারুণ আউট সুইঙ্গারে আউট মাসাকাদজা
প্রথম ওভারে দুর্দান্ত সব আউট সুইঙ্গারে হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে অস্বস্তিতে রেখেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। দ্বিতীয় ওভারে সফল হলেন অধিনায়ক। প্রথম সাফল্য পেল বাংলাদেশ।
অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে আরও বেরিয়ে যাওয়া বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে স্লিপে অপেক্ষায় থাকা সাব্বির রহমানের হাতে।
৫ রান করে ফিরেন মাসাকাদজা। তার বিদায়ের সময় জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৪/১। জয়ের জন্য অতিথিদের চাই আরও ২০৩ রান। ক্রিজে সলোমন মিরের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ক্রেইগ আরভিন।
শুরুতেই শেষ বাংলাদেশের রিভিউ
তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই রিভিউ হারিয়েছে বাংলাদেশ।
সাকিব আল হাসানের ভেতরে ঢোকা বল পা বাড়িয়ে খেলেন মাসাকাদজা। বল ব্যাটের ধারে কাছে ছিল না। আম্পায়ার জোরালো আবেদনে সাড়া না দিলে রিভউ নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে দেখা যায় ইমপ্যাক্ট অফস্টাম্পের বাইরে।
টেলএন্ডারদের দৃঢ়তায় বাংলাদেশের ২১৬
তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের শতরানের জুটিতে ভালো সূচনা পাওয়া বাংলাদেশ দিক হারায় হঠাৎ ধসে। ২৩ রানের মধ্যে ৬ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে দলটি। সেখান থেকে স্বাগতিকদের ৯ উইকেটে ২১৬ পর্যন্ত নিয়ে গেছে টেলএন্ডাররা।
তামিম (৭৬) ও সাকিব (৫১) ছাড়া বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান বিশ পর্যন্ত যেতে পারেননি। ওয়ানডেতে নিজের প্রথম ইনিংসে ১৯ রান করে ফিরেন সানজামুল ইসলাম। ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন মুস্তাফিজুর রহমান। এক ছক্কায় ৪ বলে অপরাজিত ৮ রান করেন রুবেল হোসেন। শেষ দুই উইকেটে ৪৬ রান যোগ করে বাংলাদেশ।
৩২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রিমার। পেসার কাইল জার্ভিস ৩ উইকেট নেন ৪২ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২১৬/৯ (তামিম ৭৬, এনামুল ১, সাকিব ৫১, মুশফিক ১৮, মাহমুদউল্লাহ ২, সাব্বির ৬, নাসির ২, মাশরাফি ০, সানজামুল ১৯, মুস্তাফিজ ১৮*, রুবেল ৮*; জার্ভিস ৩/৪২, চাতারা ১/৩৩, মুজারাবানি ০/৩৬, রাজা ১/৩৯, ক্রিমার ৪/৩২, ওয়ালার ০/৩২)
বাংলাদেশের দুইশ
২৩ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে এক সময়ে বাংলাদেশের দুইশ পর্যন্ত যাওয়া নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল। দলকে টেনেছেন টেলএন্ডার ব্যাটসম্যানরা। ৪৯তম ওভারে তেন্দাই চাতারা বলে মুস্তাফিজুর রহমানের চারে দলের সংগ্রহ যায় দুইশ রানে।
স্কোর দুইশর কাছে নিয়ে আউট সানজামুল
দলকে দুইশ রানের কাছে নিয়ে ফিরে গেলেন সানজামুল ইসলাম। তেন্দাই চাতারাকে উড়ানোর চেষ্টায় ক্যাচ দিয়েছেন ব্লেজিং মুজারাবানিকে।
নবম উইকেটে মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে সানজামুল গড়েন ২৬ রানের জুটি।
১৯ রান করে সানজামুল ফিরে যাওয়ার সময় বাংলঅদেশের স্কোর ১৯৬/৯। ক্রিজে মুস্তাফিজের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান রুবেল হোসেন।
ক্রিমারের শততম উইকেট মাশরাফি
মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ফিরিয়ে ম্যাচে নিজের চতুর্থ আর ওয়ানডে ক্যারিয়ারে শততম উইকেট নিয়েছেন গ্রায়েম ক্রিমার। লেগ স্পিনারের জাদুতে দিক হারিয়ে বাংলাদেশের দুইশ পর্যন্ত যাওয়া নিয়েই এখন শঙ্কা।
ক্রিমারের সোজা বলে কট বিহাইন্ড হন মাশরাফি। নন স্ট্রাইকার সানজামুল ইসলামের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে রিভউ নেন অধিনায়ক। তাতে পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত।
৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৭৫/৮। উইকেটে সানজামুলের সঙ্গী মুস্তাফিজুর রহমান।
খোঁচা মেরে ফিরলেন নাসির
কাইল জার্ভিসকে যেন উইকেট উপহার দিলেন নাসির হোসেন। খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষক ব্রেন্ডন টেইলরকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন এই অলরাউন্ডার।
দ্রুত উইকেট হারানোয় এখন বাংলাদেশের দুইশ রান করা নিয়েই শঙ্কায়। ২ রান করে নাসির ফেরার সময়ে বাংলাদেশের স্কোর ১৬৮/৭। ২১ রানে স্বাগতিকরা হারিয়েছে ৫ উইকেট।
মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন সানজামুল ইসলাম।
দুর্দান্ত ক্যাচে সাব্বিরের বিদায়
ক্রেইগ আরভিনের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফিরে গেছেন সাব্বির রহমান। ২০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ।
কাইল জার্ভিসের শর্ট বলে পুল করেছিলেন সাব্বির। শর্ট মিড উইকেটে ঝাঁপিয়ে এক হাতে ক্যাচ মুঠোয় নেন আরভিন। বুলেট গতির শটে অমন ক্যাচ যেন ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিল না সাব্বিরের।
৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৬৭/৬। নাসির হোসেনের সঙ্গে ক্রিজে আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
স্টাম্পড হয়ে ফিরলেন তামিম
টানা তিন ওভারে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দিলেন গ্রায়েম ক্রিমার। এই লেগ স্পিনারকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হয়ে ফিরেছেন তামিম ইকবাল।আগের দুই ওভারে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহকে ফেরানো ক্রিমার তামিমের দামি উইকেট পান গুগলিতে। এগিয়ে এসে মিড উইকেট দিয়ে স্লগ করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। স্পিন করে বেরিয়ে যাওয়ায় বলের নাগাল পাননি। বাকিটুকু সহজেই সারেন উইকেটকিপার ব্রেন্ডন টেইলর।
১০৫ বলে ৬টি চারে ৭৬ রান করে ফিরেন তামিম। ৩৮.১ ওভারে তার বিদায়ের সময় দলের স্কোর ১৬৪/৫। ক্রিজে সাব্বির রহমানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নাসির হোসেন।
গুগলিতে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ
গ্রায়েম ক্রিমারের গুগলি বুঝতেই পারলেন না মাহমুদউল্লাহ। লেগ স্পিন ভেবে খেলতে গিয়ে ফিরলেন এলবিডব্লিউ হয়ে।
ক্রিমারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটি স্পিন করে ভেতরে ঢোকে। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে প্যাডে। নন স্ট্রাইকার তামিম ইকবালের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে রিভিউ না নিয়ে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। পরপর দুই ওভারে উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ।
২ রানে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৭ ওভার শেষে দলের স্কোর ১৫৮/৪। ১০১ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত তামিম। সাব্বির রহমান খেলছেন ৩ বলে ১ রান নিয়ে।
প্রিয় শটে আউট মুশফিক
সুইপ তার সবচেয়ে বেশি রান প্রসবা শট। সুইপেই মুশফিকুর রহিম আউট হয়েছেন অনেকবার। হলেন আরও একবার।
ক্রিজে যাওয়ার খানিক পরই ম্যালকম ওয়ালারকে স্লগ সুইপে ছক্কা মেরেছিলেন। একটু পর গ্রায়েম ক্রিমারকে সুইপ করতে গিয়ে বল লাগল ব্যাটের ওপরের দিকে। শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ।
১৮ রানে আউট মুশফিক। বাংলাদেশ ৩৪.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১৪৬।
তামিমের ৬ হাজার
মাইলফলক ছুঁতে প্রয়োজন ছিল ৬৬ রান। ৩৫তম ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে তামিম ছুঁয়ে ফেললেন সেই মাইলফলক। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে পেলেন ৬ হাজার রানের দেখা।
তামিমের টানা তৃতীয় ফিফটি
ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা তৃতীয় ফিফটি পেয়েছেন তামিম ইকবাল।
১০৬ রানের জুটি ভেঙে সাকিব আল হাসান ফিরে যাওয়ার পরপরই পঞ্চাশ স্পর্শ করেন তামিম। বাঁহাতি এই ওপেনারের লেগেছে ৭৮ বল।
ইনিংসের শুরু থেকে সঠিক বলের জন্য অপেক্ষা করছেন তামিম। খেলছেন এক-দুই নিয়ে। তার ব্যাট থেকে এখন পর্যন্ত এসেছে মাত্র ৪টি চার।
২৮তম ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১১৬/২। তামিম ৭৯ বলে ৫১ ও মুশফিকুর রহিম ৩ বলে ২ রানে খেলছেন।
ফিফটি করে ফিরে গেলেন সাকিব
টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তৃতীয় ওভারে ক্রিজে এসে তামিম ইকবালের আগে পৌঁছেছেন পঞ্চাশে। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ফিরেছেন স্টাম্পড হয়ে। ৮০ বলে খেলা তার ৫১ রানের ইনিংসে চার ছয়টি।তিন নম্বরে দারুণ খেলছেন সাকিব। টানা তিন ম্যাচে তামিমের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েছেন পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি।
সিকান্দার রাজাকে একটি ওভার মেডেন খেলেছিলেন সাকিব। ৭৮ বলে ফিফটি পাওয়া এই অলরাউন্ডার পুষিয়ে নিতে অফ স্পিনারের ওপর চড়াও হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল ব্যাটে খেলতে পারেননি। ফিরে যান স্টাম্পড হয়ে।
২৮তম ওভারের প্রথম বলে সাকিব ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১২/২। ক্রিজে তামিমের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশের একশ
উইকেট থেকে যথেষ্ট সহায়তা পাচ্ছেন স্পিনাররা। তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের মতো দুই আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান ক্রিজে থাকার পরও তাই দ্রুত রান তুলতে পারছে না বাংলাদেশ।
২৫তম ওভারে তিন অঙ্কে গেছে বাংলাদেশের স্কোর। ২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১০১ রান। তামিম ইকবাল ৬৮ বলে ৪৪ ও সাকিব আল হাসান ৭৬ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত।
তামিমের রেকর্ড
সনাথ জয়াসুরিয়াকে ছাড়িয়ে এক মাঠে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন তামিম ইকবাল। কলম্বোর আর প্রেমাদাসায় ৭০ ইনিংসে ২ হাজার ৫১৪ রান করেছিলেন জয়াসুরিয়া।
লঙ্কান গ্রেটের রেকর্ড কেড়ে নিতে ৪২ রান দরকার ছিল তামিমের। ২৪তম ওভারে একটি সিঙ্গেল নিয়ে জয়াসুরিয়াকে ছাড়িয়ে যান বাঁহাতি এই ওপেনার। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রেকর্ড নিজের করে তার লেগেছে ৭৩ ইনিংস।
তামিম-সাকিব জুটির ফিফটি
দ্রুত এনামুল হককে হারানো বাংলাদেশ এগোচ্ছে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটে। অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেটে অর্ধশত রানের জুটি গড়েছেন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।৬৬ বলে আসে তামিম-সাকিবের জুটির অর্ধশতক। ত্রিদেশীয় সিরিজে দ্বিতীয় উইকেট এটি তাদের তৃতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দুই জনে গড়েছিলেন ৭৮ রানের জুটি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯৯।
১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬৬/১। তামিম ৩৩ বলে ২৫ ও সাকিব ৪৫ বলে ২৯ রানে খেলছেন।
জিম্বাবুয়ের ব্যর্থ রিভিউ
তেন্দাই চাতারার বল সুইং করে লেগ দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিল। জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলার চেষ্টা করেছিলেন সাকিব আল হাসান। আম্পায়ার কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় জিম্বাবুয়ে।
রিপ্লেতে দেখা যায় চাতারার সেই বলটি ছিল ‘নো’ বল। তাই শুরুতেই বাতিল হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের রিভিউ। বল সাকিবের ব্যাটও স্পর্শ করেনি, ক্যাচ যায় প্যাডে লেগে।
ফিরে গেলেন এনামুল
তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেছেন এনামুল হক।
তেন্দাই চাতারার আগের ওভারে জোরালো আবেদন থেকে বেঁচে যান এনামুল। কাইল জার্ভিসের বল সুইং করবে না ভেবে খেলেছিলেন এই ওপেনার। ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে লাগে প্যাডে।
৭ বলে ১ রান করে ফিরেন এনামুল। তার বিদায়ের সময় বাংলাদেশের স্কোর ৬/১। তামিম ইকবালের সঙ্গে ক্রিজে আছেন সাকিব আল হাসান।
অপরিবর্তিত জিম্বাবুয়ে দল
শ্রীলঙ্কার কাছে আগের ম্যাচে হেরে যাওয়া দলটির ওপরই আস্থা রেখেছে জিম্বাবুয়ে। তিন ইনিংসে মাত্র ৪ রান করার পরও টিকে গেছেন ক্রেইগ আরভিন।
জিম্বাবুয়ে দল: গ্রায়েম ক্রিমার, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, সলোমন মিরে, ক্রেইগ আরভিন, ব্রেন্ডন টেইলর, সিকান্দার রাজা, পিটার মুর, ম্যালকম ওয়ালার, ব্লেজিং মুজারাবানি, তেন্দাই চাতারা, কাইল জার্ভিস।
সাইফের জায়গায় সানজামুল
বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন একটি। এক ম্যাচ পর দলে ফিরেছেন সানজামুল ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনারকে জায়গা দিতে গিয়ে বাদ পড়েছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। আগের ম্যাচের মতো এবারও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই বাঁহাতি স্পিনার নিয়ে খেলছে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, এনামুল হক, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, সানজামুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা তিন ম্যাচে টস জিতলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
উইকেট যথেষ্ট রোদ পেয়েছে। দুই দলের প্রথম ম্যাচের মতো উইকেট নরম নয়। উইকেটে আর্দ্রতাও নেই। অনুমিতভাবে ব্যাটিং নিয়েছেন মাশরাফি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিয়েছিলেন বোলিং।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের আগের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে তিনশ ছাড়ানো স্কোর গড়েছিল স্বাগতিকরা।
আত্মতুষ্টিতে ভুগছে না বাংলাদেশ
সবার আগে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করা বাংলাদেশের জন্য শেষ দুই ম্যাচ নিয়ম রক্ষার। তামিম ইকবাল জানিয়েছেন, তাতে তাদের খেলায় কোনো পার্থক্য আসবে না। নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েই শেষ দুই ম্যাচে খেলবে বাংলাদেশ।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। খেলা শুরু হবে বেলা ১২টায়।
জিম্বাবুয়ের কাছে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে শেষ দেশের মাটিতে হেরেছিল বাংলাদেশ। তামিম জানান, জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার দিকে থাকবে তাদের মনোযোগ।
ফাইনালে চোখ জিম্বাবুয়ের
শ্রীলঙ্কার কাছে আগের ম্যাচে হারলেও দমে যায়নি জিম্বাবুয়ে। কমে যায়নি আত্মবিশ্বাস। দলের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান পিটার মুর বলছেন, ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে চোখ রাখছে দল।
ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনায় নিজেদের এগিয়ে রাখতে মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়টা খুবই জরুরি জিম্বাবুয়ের জন্য। কাঙ্ক্ষিত সেই জয়টি পেতে আত্মবিশ্বাসী জিম্বাবুয়ে, জানান মুর।
২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট ৪ করে। রান রেটে খানিকটা এগিয়ে গ্রায়েম ক্রিমারের দল।