দাউদকান্দিতে ‘বঙ্গবন্ধুমঞ্চ’ উদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা রবিবার ১২:৫২, ২৯ মে, ২০২২
কুমিল্লা জেলার এই উপজেলার কেরোসিন ঘাট এলাকায় উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ শ্রমিকলীগ ও প্রজন্ম লীগ নেতাদের উদ্যোগে এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী উপজেলা আ.লীগের সহযোগী অঙ্গসংগঠনের প্রায় হাজারো নেতা–কর্মীদের একত্রিত হয়ে ‘একদফা একদাবি,মঞ্চ ছাইড়া কবে যাবি‘ স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে আশপাশের এলাকা।
পরে এই মানববন্ধনে যোগদান করেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী। তিনি সংহতি প্রকাশ করে একটি বক্তব্যে বলেন, আমরা আজ সুশৃঙ্খলভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন পালন করছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের প্রাণের দাবি, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত এই স্থানটি দ্রুত পুনরুদ্ধার করে, এখানে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর নির্মাণ করে আমাদের উত্তর প্রজন্মকে, জাতির পিতা সম্পর্কে ইতিহাস জানার সুযোগ করে দিন।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর(অব.) মোহাম্মদ আলী‘র নেতৃত্ব্যে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পৌরবাজার প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিনুল হাসানের পক্ষে, সহকারি কমিশনার(ভূমি) সুকান্ত সাহা‘র নিকট একটি স্মারকলিপি জমা দেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলীসহ সংগঠনের নেতারা।
এসময় সঙ্গে ছিলেন–উপজেলা পরিষদ ভাইস–চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম নয়ন, পৌরসভা প্যানেল মেয়র রকিবউদ্দীন রকিব, ১নং সদর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান শাহীন, গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নোমান সরকার ।
সূত্র জানায়, ৪ মার্চ ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, এই মোটেল ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে জনসমুদ্রে একটি ভাসন দিয়েছিলেন. এরপর পরবর্তী সময়ে ১৯৭৪ সালে এখানে তদান্তদীন রাষ্ট্রপতির আদেশে ২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধুমঞ্চ‘ নির্মাণ করা হয়।
সেই স্মৃতিবিজড়িত স্থানটি বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন থেকে, সাবেক মন্ত্রী ড.মোশাররফ হোসেন ১৯৯২ সালে তার স্ত্রী বিলকিস হোসেন ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি একেএম সামসুল হকের নামে ক্রয় করে নেন। পরে তিনি .৫৮ একর জায়গার মধ্যে .২০ একর জায়গায় একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেন।
তাই স্থানীয় নেতাকর্মীরা দাবি জানিয়ে বলেছে, জাতির পিতার স্মরণে ও তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে উত্তর প্রজন্মের কাছে জাতির জনকের ইতিহাস তুলে ধরতে, এই মোটেলটিকে একটি বঙ্গবন্ধু জাদুঘর হিসেবে নির্মাণ করা হোক।
এবিষয়ে জানতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি একেএম সামসুল হক এর বাসায় গিয়ে তাকে না পাওয়ায় কোনো বক্তব্য বা প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে সমাবেশস্থলে যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের বক্তব্য দেন-উপজেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ এর সভাপতি সোহেল রানা, পৌর আওয়ামী যুবলীগের সদস্য মুরাদ চৌধুরী সুমন, মো.খাজা প্রধান ও শাহজাদা মজুমদার প্রমুখ।