ঢাকা (দুপুর ১:২০) শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

করোনা সংক্রমণে ঢাকাকে ছাড়িয়ে গেছে খুলনা-রাজশাহী

ডেক্স রিপোর্ট ডেক্স রিপোর্ট Clock শুক্রবার রাত ০২:২১, ২৫ জুন, ২০২১

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশ কিছুদিন ধরে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। করোনার ভারতীয় ধরন ‘ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট’ শনাক্তের পর জেলাগুলোতে প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মোট ৮১ জনের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে খুলনা বিভাগে ২৩ জন এবং রাজশাহীতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ঢাকা বিভাগ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ার পরেও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।অর্থাৎ করোনায় মোট মৃতের ৫৩ শতাংশের বেশি মৃত্যু খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে।

ঢাকা বিভাগ বাদে বাকি পাঁচ বিভাগ- চট্টগ্রামে সাত, বরিশালে তিন, সিলেটে পাঁচ, রংপুরে বিভাগে সাত এবং ময়মনসিংহ বিভাগে তিন জনের করোনা আক্রান্তে মৃত্যু হয়েছে।

খুলনা বিভাগের প্রায় সব জেলায়ই সংক্রমণ বাড়ছে। এর মধ্যে খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গায় সংক্রমণ বেশি।

সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এই বিভাগের করোনার চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত ১৩০ শয্যার একমাত্র হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই হাসপাতালে শয্যাসংখ্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি থাকছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতালকে ৭০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে।

সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় ভারতীয় ধরন ‘ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট’ শনাক্তের পর ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পরিকল্পিতভাবে ঢাকার চারপাশে জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বিভিন্ন জেলা থেকে পিকআপ, প্রাইভেটকার কিংবা ট্রাকে প্রতিদিন মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৮৬৮ জন। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭ হাজার ৭৪৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২ হাজার ৬২৭, খুলনা বিভাগে ১ হাজার ৮৭, রাজশাহী বিভাগে ৯৩৬, বরিশাল বিভাগে ৪১৩, সিলেট বিভাগে ৫১১, রংপুর বিভাগে ৫৫৫ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২৯২ জনের মৃত্যু হয়।

করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত রোগীর সংখ্যা বেশি থাকলেও দুই মাস ধরে খুলনা ও রাজশাহীসহ ভারতের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলায় আক্রান্ত ও মৃত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সাত জেলায় সর্বাত্মক লকডাউন জারি করে।

এছাড়া কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় কারিগরি কমিটির এক সভায় সারাদেশে ১৪ দিনের সম্পূর্ণ শাটডাউনের সুপারিশ করা হয়। এটি না করলে করোনা সংক্রমণ আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় শাটডাউন মানে জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ রাখার কথা বোঝানো হয়েছে।



শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT