ঢাকা (রাত ১১:১০) মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Join Bangladesh Navy


মায়ের মৃত্যুতে শিশুর আহাজারি : উঠেছে ডাক্তার-নার্সের অবহেলার অভিযোগ

মায়ের মৃত্যুতে শিশুর আহাজারি : উঠেছে ডাক্তার-নার্সের অবহেলার অভিযোগ

মোঃ জাকির হোসেন,মৌলভীবাজার মোঃ জাকির হোসেন,মৌলভীবাজার Clock শুক্রবার দুপুর ০৩:৩৪, ২ জুলাই, ২০২১

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্স ও ডিউটি ডাক্তারের অবহেলায় সুমী বেগম (২৪) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মা মারা যাওয়ার কারণে দুগ্ধপোষ্য ১০ মাসের শিশুটি মায়ের জন্য হাহাকার করছে, তার চিৎকারে ভারী হয়ে উঠছে হাসপাতাল চত্বর।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিকাল ৫টায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত সুমী বেগম উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের মন্নান মিয়ার মেয়ে।

নিহত সুমি বেগমের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজারের খলিলপুর ইউনিয়নের সরকারবাজার এলাকার এমরান মিয়ার স্ত্রী এক সন্তানের জননী সুমী বেগমের পেটে ব্যথা দেখা দিলে তার স্বজনরা তাকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। বৃহস্পতিবার সকালে মেডিকেল টেস্ট শেষ করে তাকে হাসপাতালের সাধারণ মহিলা ওয়ার্ডে নিয়ে আসলে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে তা দেখে সুমির মা রাহেনা বেগম ও বাবা মন্নান মিয়া ডিউটিরত ডাক্তার ও সিনিয়র নার্সদের কাছে বারবার উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে তাদেরকে রেফার করার জন্য বার বার অনুমতি চাইলেও ডিউটি ডাক্তার ও নার্সরা  তাদের কথার কোন কর্ণপাত করেননি।

দুপুর ১২টার দিকে সুমির অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে সিনিয়র নার্স অনিতা সিনহা ও মিডওয়াইফ রত্না মণ্ডল তাকে একটি ইনজেকশন পুশ করে চলে যান। এরপর থেকেই সুমির আর কোন নড়াছড়া দেখতে না পেয়ে সুমির মা বাবা বারবার ডিউটি ডাক্তার মুন্না সিনহা ও নার্সদের কাছে গেলে তারা বিরক্ত হয়ে বলেন রোগী ঘুমিয়ে আছে, ডিস্টার্ব করবেন না। কিন্তুু বিকেলেও যখন নিহত সুমি বেগমের কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিলনা। তখন আবার তারা নার্সকে জানালে নার্সরা ডাক্তার মুন্না সিনহাকে নিয়ে আসলে তিনি সুমিকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত সুমির মা রাহেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য হাসপাতালের নার্স এবং ডিউটি ডাক্তারই দায়ী। আমরা তাদের বিচার চাই।

তবে ডিউটি ডাক্তার মুন্না সিনহা ও মিডওয়াইফ রত্না মণ্ডল জানান, মৃত রোগীর স্বজনরা আমাদের কাছে রোগীকে রেফারের জন্য কখনো বলেননি। আমাদের চিকিৎসার মধ্যে কোন ত্রুটি নেই। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করতে পারেন।

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় যদি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোন অবহেলা বা কেউ দায়ী থাকেন তবে আগামীকাল (শুক্রবার) তদন্তক্রমে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT