ঢাকা (রাত ১১:৪১) শুক্রবার, ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

Join Bangladesh Navy


টপ অর্ডার হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ

ডেক্স রিপোর্ট ডেক্স রিপোর্ট Clock রবিবার সন্ধ্যা ০৬:১৪, ২৮ নভেম্বর, ২০২১

তাইজুল ইসলামের অতিমানবীয় বোলিং। পাকিস্তানকে ২৮৬ রানেই অলআউট করে দিয়েছে বাংলাদেশ। একাই ৭ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসেই বাংলাদেশ লিড নিয়েছে ৪৪ রানের। চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের পুরো গল্পের এ পর্যন্ত সুখকরই ছিল বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চরম হতাশা উপহার দিয়েছে টাইগাররা ব্যাটাররা। ২৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় স্বাগতিকরা।

শেষ পর্যন্ত মুশফিকুর রহীম এবং ইয়াসির আলি রাব্বির ব্যাটে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪ উইকেটে ৩৯। মোট লিড দাঁড়িয়েছে ৮৩ রানের। ১২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহিম এবং ইয়াসির আলি রাব্বি উইকেটে আছেন ৮ রান নিয়ে।

তৃতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে ১৫ রানে তিন সেরা ব্যাটারকে হারিয়ে যখন ধুঁকছিল বাংলাদেশ তখন কিছুটা আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছিলেন ওপেনার সাইফ হাসান। অন্য তিনজনের আসা-যাওয়া দেখার মাঝে তিনি ছিলেন কিছুটা অবিচল।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর অবিচল থাকতে পারলেন না। মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে জুটি বেঁঁধেছেন কেবল ১০ রানের। ব্যক্তিগত ১৮ রানের মাথায় শাহিন শাহ আফ্রিদির হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন তিনিও। ২৫ রানে পড়লো ৪ উইকেট। বলাই যায়, চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।

এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। শুরুতেই হারিয়ে বসেছে দলের সেরা তিন ব্যাটার সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং অধিনায়ক মুমিনুল হকের উইকেট।

স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৫ রান যোগ করতেই ৩ উইকেট হারিয়ে মহাবিপর্যয়ে টিম বাংলাদেশ। পাকিস্তানের দুই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং হাসান আলির বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারছে না বাংলাদেশের ব্যাটাররা।

বাংলাদেশের ব্যাটারদের সামনে শাহিন শাহ আফ্রিদিই সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর হিসেবে হাজির হয়েছে। ৫ম ওভারের তৃতীয় বলে সাদমান ইসলামবে এলবিডব্লিউর শিকার করেন শাহিন। ১২ বল খেলে মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।

এক বল বিরতি দিয়ে আরও উইকেট। এবার ফিরে গেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটের কানায় লাগিয়ে প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা আবদুল্লাহ শফিকের হাতে ক্যাচ দেন শান্ত। কোনো রানই করতে পারলেন না তিনি।

পরের ওভারে হাসান আলির বলে উইকেট দিলেন মুমিনুল হক। ওভারের শেষ বলটি মুমিনুলের ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায় মিডউইকেটে। আজহার আলি দাঁড়িয়ে থেকে ক্যাচটা তালুবন্দী করে নিলেন শুধু।

১১তম ওভারের প্রথম বলে উইকেট হারান সাইফ হাসান। শাহিন শাহ আফ্রিদির বাউন্সেই ধরা খেলেন সাইফ। শরীর বরাবর বাউন্স ঠেকাতে ব্যাট পেতে দেয়ার চেষ্টা করেন সাইফ। কিন্তু বলটি গ্লাভসের উপরের অংশে লেগে উঠে যায়। একটু এগিয়ে গিয়ে নিজেই ক্যাচটি তালুবন্দী করে নিলেন শাহিন।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT