জবাবদিহিতার মাধ্যমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার জলমহাল ইজারা প্রদান
মোঃ কামরুজ্জামান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ০৭:০৫, ৭ মে, ২০২০
তারেক আল মুরশিদ, গাইবান্ধা থেকেঃ জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ আলোকে গত ১০ মার্চ ২০২০ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের ২৫৭ নং স্বারকে ৭৫ টি জলমহালের ইজারা বিজ্ঞপ্তি দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় প্রকাশিত হয়৷ এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারি ওয়েবসাইট , উপজেলা প্রশাসনের ফেইসবুক আইডি ও সহকারী কমিশনার ( ভূমি) এর ফেইসবুক আইডিতে প্রকাশ করেন ৷ গত ২৪/০৩/২০২০ আবেদনকারী সকল মৎস্যজীবী সমিতি ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে টেন্ডার বাক্স উন্মুক্ত করেন ৷ সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে ২০টি, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ৭২টি এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ে ৪৪টি আবেদন সর্বোমোট ১৩৬ টি আবেদন পত্র জমা পরেছিলো ৷ ৭৫ টি জলমহালের বিপরীতে শুধু ৬০ টি জলমহালের আবেদন জমা হওয়ায় এবং ১৫ টি জলমহালের কোন আবেদন জমা না হওয়ায় সেগুলো পরবর্তীতে পুনরায় টেন্ডার প্রদান করেছিলেন ৷ ৬০ টি জলমহালের বিপরীতে ১৭ টি জলমহালে একটি মাত্র করে আবেদন জমা পেয়েছিলেন ৷ যেসব জলমহালে একটি মাত্র করে আবেদন জমা পেয়েছিলেন এবং অন্য কোন আবেদন না থাকায় উপজেলা জলমহাল কমিটি সেগুলো অনুমোদন করে৷ ৪৩টি জলমহালের একাধিক বা ততোধিক আবেদন জমা পাওয়ায়৷জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ এর ৫(৪)( চ)অনুচ্ছেদ বলা আছে, ” স্থানীয় প্রকৃত মৎস্যজীবী সংগঠনগুলোর মধ্যে যে সংগঠন /সমিতি সংশ্লিষ্ট জলমহালের নিকটবর্তী বা তীরবর্তী, যে সকল প্রকৃত মৎস্যজীবী সংগঠনকে সংশ্লিষ্ট জলমহাল ইজারা প্রদান করতে হবে৷ ” যেহেতু ৪৩টি জলমহালে একাধিক আবেদন পাওয়া গিয়েছে নিকটবর্তী বা তীরবর্তী নির্ধারণের লক্ষ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়৷ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও উপজেলা সমবায় অফিসার ৷ কমিটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে সরেজমিনে তদন্ত করে উপজেলা জলমহাল কমিটির কাছে প্রতিবেদন পেশ করেন। গত ৫/০৫/২০২০ তারিখে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা জলমহাল কমিটির সকল সদস্যের উপস্থিতিতে সভা অনুষ্ঠিত হয় ৷ এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি,সাধারন সম্পাদক এবং অন্যান্য সাংবাদিক বৃন্দ। শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে এবং জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ আলোকে ১৪২৭-১৪২৯ বঙ্গাব্দের জলমহাল ইজারা প্রদান করেন ৷ এখানে কোন কারচুপি বা অনিয়ম করা হয় নাই। কয়েকটি মৎস্যজীবী সমিতি জলমহাল নীতিমালার ২০০৯ এর বাইরে গিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতাকে ইজারা প্রদানের জন্য উপজেলা জলমহাল কমিটিকে চাপ প্রয়োগ করে৷ জলমহাল কমিটির নীতিমালার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক রামকৃষ্ণ বর্মন।