ছুটি কাটিয়ে বিদ্যালয়ে আর যাওয়া হলো না কাওসারের
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ মঙ্গলবার রাত ১১:০১, ১২ জুলাই, ২০২২
গ্রীষ্মকালীন অবকাশ, ঈদ উল আযহা ও আষাঢ়ী পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে প্রাথমিক স্তরের বিদ্যালয়ের ছুটি শুরু হয় ২৮ জুন মঙ্গলবার থেকে। আর সে ছুটি কাটিয়ে মোট ১৮ দিন পর আগামী ১৭ জুলাই রোববার বিদ্যালয় যাবার কথা শিশু শিক্ষার্থী কাওসারের। সে মোতাবেক সবকিছু ঠিকই ছিলো। কিন্তু বিধিবাম। এই সুন্দর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে মঙ্গলবার দুপুরে নদীর পানিতে ডুবে চির নিদ্রায় শায়িত হয় শিশু কাওসার।
নিহত কাওসার (১২) চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার হুজরাপুর খালঘাট এলাকার মো. মেসবাউল হক ও মোসা. কুলসুম বেগমের ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছিলো বড়। নিহত শিক্ষার্থী চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নবাবগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ছিলো।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, মঙ্গলবার দুপুরের কোন এক সময় শিশু কাওসার বাড়ি থেকে বের হয় বাড়ির পাশের মহানন্দা নদীতে গোসল করার উদ্দেশ্যে। এ সময় সে পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের হুজরাপুর খালঘাট এলাকায় অবস্থিত ডায়াবেটিকস হাসপাতালের পেছনে মহানন্দা নদীতে একাকী গোসল করতে নেমে পানির স্রোতে সে তলিয়ে যায়। এদিকে বাড়িতে কাওসারকে না পেয়ে আশেপাশে খোঁজ করতে থাকে তার বাবা-মা।
পরে অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে স্থানীয়রা মহানন্দা নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি দেহ দেখতে পেলে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় দেহটি নদী থেকে উত্তোলন করে দুপুর সোয়া ১টার দিকে, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক কাওসারকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে কাওসারের মারা যাবার খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
এদিকে সেন্ট্রাল ঈদগাহ ময়দানে জানাজার নামাজ শেষে খালঘাট গোরস্থানে দাফন করা হয়, শিশু শিক্ষার্থী কাওসারের মরদেহ বলে জানিয়েছেন, তার বাবা রুটি বিক্রেতা মো. মেসবাউল হক।